মাতাজী মহারানী তপস্বিনী ।
সমকালীন ভারতের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে যে পুনরুজ্জীবনবাণী আন্দোলনের জোয়ার এসেছিল তার সঙ্গে মহারনির প্রতিষ্ঠানের প্রত্যঙ্গ সম্পর্ক ছিল। মাতাজি মনে করতেন যে দেশের প্রগতিকে সুনিশ্চিত করতে গেলে নারীকে সেই কর্মযজ্ঞে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং এর জন্য ভারতীয় নারীদের দেীয় আদর্শে শিক্ষিত করে তুলতে হবে। মহাকালি পাঠশালা মেয়েদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ, সাহিত্য, ইতিহাস, পুরাণ এর পাশাপাশি বান্না ও সেলাই দেখানো হত যাতে করে তার আদর্শ কন্যা, স্ত্রী ও মাতার ভূমিকা পালন করতে পারে।
হিন্দু মধ্যবিত্ত শ্রেণার কাছে এই বিদ্যালয় এবং তার পাঠ্যক্রম দুইই জনপ্রিয় হয়েছিল। এই বিদ্যালয় প্রকৃত পরিমাণে আর্থিক সাহায্য লাভ করেছিল যার পুরোটাই দেশীয়। ১০ বছরের মধ্যে ২৩টি শাখায় ৪৫০৮ বেশী ছাত্রী পড়াশোনা করেছে, এমনকি মহাকালি স্কুল বাংলা ও সংস্কৃত ভাষায় পাঠাগ্রন্থ ও প্রকাশ করেছেন।