মেসোপটেমিয়া সভ্যতার বৈশিষ্ট্য।
মেসোপটেমিয়া শব্দটি গ্রিক শব্দ দুটি নদীর মধ্যবর্তী ভূমি। বর্তমান ইরাকের টাইগ্রিস বা দজলা ও ইউফ্রেটিস নদী দুটির মধ্যবর্তী অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল। অধুনা সিরিয়া ইরাকের উত্তরাংশে এবং ইরাকের ঘুজেস্তান অঞ্চল গুলেয় প্রাচীন মেসোপটেমিয়া অন্তর্গত ছিল বলে মনে করা হয়। মেসোপটেমিয়া সভ্যতা পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতা গুলির মধ্যে অন্যতম। খ্রিস্টপূর্ব 350 থেকে 300 কবিদের মধ্যে মেসোপোটেমিয়ার এক উন্নত সভ্যতার উন্মেষ ঘটে যা তাকে সভ্যতার আধুর ঘর অভিধায় ভূষিত করে। প্রকৃত গত দিক থেকে তা মিশরীয় সভ্যতা থেকে অনেকটা আলাদা ছিল এবং প্রাকৃতিক দিক থেকে সুরক্ষিত ছিল না। তাই বারবার বহিঃশত্রুর আক্রমণ ঘটে।
রাজনৈতিকভাবে নগরগুলি ছিল রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র এখানে পলিশ শুধুমাত্র নগর ক্ষেত্রে নয় রাজনীতিকেও বোঝাত। নগর গুলিকে কেন্দ্র করেই আঞ্চলিক জনগণের জীবন নিয়ন্ত্রিত হত। এগুলি ছিল তাদের একইসঙ্গে শিক্ষা ও ধর্মীয় কেন্দ্র ছিল। এই নগরগুলি পণ্য ও পরিষেবা জন্য একে অপরের উপর নির্ভরশীল ছিল। উরুক পর্বের শুরুতে মেসোপটেমিয়া বাসভূমির সংখ্যা এবং আয় দুই বেড়েছিল।
মেসোপটেমিয়ার কৃষিকাজ নির্ভর করত ইউফ্রেটিসের শাখা নদী সমূহ থেকে প্রাপ্ত সেচে জলের ওপর। প্রচুর দানা শস্য চাষ হতো। নদীর পাশে বাগানে পাওয়া যেত প্রচুর ফল। এছাড়া ছিল ত্রিনয়ন চলে এবং 2004 ক্ষেত্রফলের শিকার ছাড়াও পশুর অর্থনীতি গড়ে ওঠে। মৎস্য শিকার ও তারা করত। খাদ্য যোগানের বিভিন্নতা উৎপাদকদের মধ্যে শ্রমের বিশেষীকরণ এর জন্ম দেয় যেমন মৎস্যজীবী,পশুপালক,বনে মালি,কৃষক শিকারি ইত্যাদি।
বীজ বপনের উদ্ভবন কৃষিকাজকে আরো কঠিন ও দক্ষতা নির্ভর করেছিল। নাগরিক জীবনের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য শ্রম বিভাজন সেখানকার সমাজকে পুনঃবিন্যাস সুনিশ্চিত করে। উরুক সমাজের শীর্ষে ছিলেন পুরোহিত রাজা। সামাজিক ধাপের নিচের থাকতেন মন্দির ওপর নির্ভর মানুষজন। এরা কৃষি এবং অন্যান্য উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
প্রাচীন মেসোপটেমিয়া মানুষজন বহু ঈশ্বরবাদী বিশ্বাসী ছিলেন। এবং প্রথম দিকে তারা পেগান ধর্মে অন্তর্গত ছিল। বিভিন্ন মূর্তি দেব দেবীর প্রমাণ পাওয়া যায়। ধর্ম পালনের দিক থেকে মেসোপটেমিয়া সভ্যতার মানুষেরা অনেকেই অগ্রগামী ছিল। প্রতিটি জিগুরাত ও মন্দিরে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ ধনী-দরিদ্র ব্যবসায়ী কামান কৃষক মজুর সকলের প্রবেশের কোনো বিধিনিষেধ ছিল না।
প্রাচীন মেসোপটেমিয়া তার প্রতিবেশী বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে আবদ্ধ ছিল। দূরপাল্লার বাণিজ্যে সীমাবদ্ধ ছিল মূলত সৌখিন দ্রব্য মশলাপাতি সুতিবস্ত্র এবং মূল্যবান ধাতু রপ্তানি কত্রে শুধুমাএ স্থলপথে নয় জলপথে বাণিজ্য চলত। উট গৃহপালিত পশু হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন মাধ্যম হয়ে উঠেছিল।