জাপানে মেইজী(মেজী)পুনঃ প্রতিষ্ঠার প্রকৃতি ব্যাখ্যা কর।
১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দের ৩রা জানুয়ারি সাতসুমা, চোধু প্রভৃতি শোগুন-বিরোধী গোষ্ঠী টোসা হিরোসিমা গোষ্ঠীর সাহায্যপুষ্ট হয়ে শোগুনের রাজপ্রাসাদ দখল করে মেজী সম্রাটের পুনঃপ্রতিষ্ঠা ঘোষণা করলে মেজী বা জ্ঞানদীপ্তির যুগের সূচনা হয়। কিন্তু ১৪ বছর বয়স্ক সম্রাট মুৎসোহিতো প্রকৃত অর্থেই ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন কি না বা স্বয়ং শাসনের অধিকার হয়েছিলেন কি না এ নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। মেজী যুগে শোগুনতন্ত্রের বিনাশ হলেও এবং বিভিন্ন নতুন পদ, দপ্তর ও পরিষদ খোলা হলেও সরকারের কোন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল না বলে ই. ও. রেইশওয়ার (E. O. Reischauer) মনে করেন। সম্রাটের পুনঃপ্রতিষ্ঠাই (Imperial restoration) তাদের একমাত্র লক্ষ্য হলেও তা প্রকৃত অর্থে প্রতীকী মর্যাদার বিষয় ছিল, বাস্তব রাজনীতির সঙ্গে যা সম্পর্ক রহিত।
সম্রাট সবরকম বৈধ কর্তৃত্বের উৎস হলেও তিনি প্রকৃত অর্থে শাসন করতেন না। Reischauer বলেন যে জাপানীরা দীর্ঘদিন সাক্ষীগোপাল সম্রাট এবং শোগুন ও ডাইমিয়োদের শাসনের সঙ্গে এতটাই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন যে অতি সহজেই সম্রাটের ব্যক্তিগত শাসনে ফিরে আসতে পারেননি। হাজার বছর ধরে এমনকী সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠার আগেও সম্রাটের ভূমিকা ছিল প্রধানত আনুষ্ঠানিক ও প্রতীকী। খুব স্বল্পসংখ্যক জাপানী-ই আশা করতেন যে সম্রাট স্বয়ং শাসনভার গ্রহণ করবেন।
সম্রাট মুসোহিতো, যিনি ১৯১২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত শাসন করেছিলেন, অচিরেই এক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে, এই বর্ষকালে তাই মেজী বা জ্ঞানদীপ্তির যুগের সূচনা হয়। Reischauer-এর মতে জাপানের সার্বিক আধুনিকীকরণের ব্যক্তিগত প্রতীক ছিলেন মেজী সম্রাট। ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন : “We pledge…to.. bring welfare and happiness to our one billion subjects and expand over the unlimited span of ocean and waves to bring forth our national influence, and put our nation on a foundation solid as a rock”। কিন্তু ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট বাস্তবিক এতটাই নবীন ছিলেন যে স্ব-শাসন তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না এবং দেশের অনেক নীতি নির্ধারকদের মধ্যে একজনের বেশি ভূমিকা তিনি কখনো পালন করতে পারেননি। Alfred Crofts ও Percy Buchanan তাই মেজী যুগকে টোকুগাওয়া থেকে চার পশ্চিমী গোষ্ঠীর। হাতে ক্ষমতার হস্তান্তর রূপে অভিহিত করেছেন। এই চার পশ্চিমী গোষ্ঠী হল সাতসুমা, চোবু, হিজেন ও টোসা বা সংক্ষেপে সাত-চো-হি-টো।
ঐতিহাসিক ভিনাকও প্রায় অনুরূপ মন্তব্য করে বলেন: “The restoration of the Emperor to power as a result of the resignation of the Shogun did not mark a sharp break with the past. The feudal regime was left intact”। অর্থাৎ মেজী পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাপানের সামন্ততান্ত্রিক অতীতের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ হয়নি, সামন্ততান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকে। সম্রাটকে পূর্ণ ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করতে সারা দেশ জুড়ে শোগুন-বিরোধী যে আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল তার মূল লক্ষ্য ছিল গৌরবময় অতীতের প্রাচীন প্রথা ও প্রতিষ্ঠানের পুনরাবর্তনের সঙ্গে ইউরোপ থেকে আমদানিকৃত নব্য আদর্শের পুনসংগঠন।
ভিনাক মনে করেন বিচ্ছিন্নতার নীতি বিসর্জন দিয়ে শোগুন-ই প্রথম অতীতের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করেন। পরে মেজী সম্রাট ও পশ্চিমী গোষ্ঠী বিদেশীদের কিয়োটোতে প্রবেশের অধিকার দিয়ে অতীতের সাথে সম্পর্ক ছেদ করেন। তাঁর মতে জাপানের বৈদেশিক নীতির আমূল পরিবর্তন হলেও অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ বাকি ছিল। অতীতের মধ্যে থেকেই নতুন শৃঙ্খলা, নতুন আদর্শকে বিকশিত করতে হয়েছিল ধীর উত্তরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে জাপানের এই উত্তরণ আজও স্পষ্ট। তবে মেজী পুনঃপ্রতিষ্ঠার পরবর্তী ২০ বছরেই গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের উল্লেখযোগ্য সূচনা হয়েছিল।
ভিনাক বলেন যে শোগুনের পদত্যাগের পর টোকুগাওয়া শোগুনের কর্তৃত্বের পরিবর্তে পশ্চিমী সামন্তগোষ্ঠীর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। তাঁরা নতুন সম্রাটের পরামর্শদাতারূপে ক্ষমতা ভোগ করেন। টোকুগাওয়া বিদ্রোহ দমনের মাধ্যমে নতুন ক্ষমতাশালী পশ্চিমী গোষ্ঠী তাদের ক্ষমতা জাহির করে। কিন্তু নতুন ক্ষমতাশালী গোষ্ঠীর ক্ষমতাভোগ দীর্ঘস্থায়ী হবে তখনই যখন শোগুনতন্ত্রের বদলে এক নতুন ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। ভিনাকের মতে নতুন ব্যবস্থা স্পষ্টতই অতীতের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল এবং তা অবশ্যই পাশ্চাত্যের আদর্শের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল, কেননা ক্রমশই তা জাপানীদের দ্বারা প্রশংসিত হতে থাকে। নতুন ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পাশ্চাত্যের মুখ্য অবদান হল পাশ্চাত্য ধাঁচের আলোচনাসভা বা আইনসভা গঠন।
রেস্টোরেশন বা জাপানী সম্রাটের পুনঃপ্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে ঐতিহাসিক ভিনাকের মতের প্রতিধ্বনি লক্ষ্য করা যায় কুইগুলি (Quigly) ও টারনার (Turner), লাটুরেট, রিচার্ড স্টোরী-র মন্তব্যে। কুইগুলি ও টারনারের মতে ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দের রেস্টোরেশন বা পুনঃপ্রতিষ্ঠার অর্থ হল সম্রাটের মর্যাদার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, ক্ষমতার নয় (“The Restoration of 1868 meant a restoration of the Emperor to dignity not to power”)। লাটুরেট মনে করেন। রেস্টোরেশনের ফলে সম্রাট তত্ত্বগতভাবে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন ঠিকই কিন্তু বাস্তবে তাঁর ব্যক্তিগত শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়নি। পূর্বে যে ক্ষমতা টোকুগাওয়া শোগুনেরা ভোগ করতেন তা এখন শোগুনবিরোধী সাত-চো-হি-তো (সাতসুমা, চোয়ু, হিজেন, টোসা)-র দখলে আসে।
রিচার্ড স্টোরীর মতে টোকিওতে নতুন সরকারের নামেমাত্র প্রধান ছিলেন একজন রাজপারিষদ (Court noble) কিন্তু ক্ষমতায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ ছিল পশ্চিমী গোষ্ঠীর নিম্নপদস্থ কর্মচারীদের হাতে। তাঁরা মুষ্টিমেয় অভিজাতদের এক দক্ষ গোষ্ঠীরূপে গড়ে উঠেছিল। মেজী সরকারের এই নতুন রূপকারেরা হলেন সাতসুমা গোষ্ঠীর সাইগো, চোयू গোষ্ঠীর কিডো কোইন, ইটোহিরোঝুমি এবং ইনোউয়ে কাউরু, টোসা গোষ্ঠীর ইটাগাকি তাইসুকে এবং হিজেন গোষ্ঠীর কুমা শিগেনোবু।
ঐতিহাসিক হারাবার্ট নর্মান মেজী রেস্টোরেশন বলতে সম্রাটের ক্ষমতার পুনঃপ্রতিষ্ঠা বুঝেছেন। তাঁর মতে রেস্টোরেশনের ফলে শোগুন যুগের দ্বৈতশাসনের অবসান ঘটে এবং প্রাক্-শোক্তন যুগের অবস্থা ফিরে আসে। অর্থাৎ সম্রাট আইনগত ও প্রকৃত ক্ষমতার অধিকারী হন। স্যার জর্জ স্যানসমও নর্মানের বক্তব্যের প্রায় অনুরূপ মত প্রকাশ করে বলেন যে ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দের পরিবর্তনের ফলে সামন্ততন্ত্রের অবসান ঘটে এবং সম্রাটের একাধিপত্য পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু তাঁর মতে এই পরিবর্তনকে বিপ্লব আখ্যা দেওয়া যায় না কারণ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
সম্রাট বয়সে নবীন হলেও তাঁর চারিত্রিক ও মানসিক দৃঢ়তার পরিচয় পাওয়া যায়। ক্র্যাফট্স ও বুকানন জাপানের শ্রেষ্ঠত্বে তাঁর অবদানকে সমকালীন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের উত্থানে বানী ভিক্টোরিয়ার অবদানের চেয়ে বেশি মনে করেন। সম্রাটের সিংহাসন আরোহণের আড়াই বছা পরে তার রাজদরবার এডোতে স্থানান্তরিত হয়। তাঁর এই স্থানান্তরের মাধ্যমেই শোগুন যুগের দীর্ঘ নির্জনবাসের দিন শেষ হয় এবং জনগণের প্রত্যক্ষ সংযোগে আসার মাধ্যমে সম্রাটের মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। এইভাবে শোগুন ইয়োসুর সময় থেকে বন্ধ হয়ে যাওয়া সম্রাট পূজার পুনরাবর্তন ঘটে।
মেজী যুগে প্রাক্-শোগুন পর্বের প্রাচীন প্রথা পুনরাবর্তনের মূল লক্ষ্য ছিল। সম্রাটের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা। সম্রাট স্বহস্তে প্রশাসন পরিচালনা না করলেও সম্রাটের প্রতিনিধিরা তার হয়ে সেই দায়িত্ব পালন করতেন এবং তাঁর নামেই রাজাজ্ঞা প্রকাশিত হত। সম্রাটের নামে প্রত্যক্ষ শাসনকার্যে যারা অংশগ্রহণ করতেন তাদের মধ্যে ফুজিয়ারা (Fujiwara) অভিজাত পরিবারের উত্তরসূরীরাও ছিলেন। এই পরিবারের লোকেরাই সামন্ততন্ত্র প্রতিষ্ঠার বহু শতাব্দী আগে সম্রাটের নামে দেশ শাসন করতেন। এদেরই কয়েকজন বিশেষ করে ইয়াকুরা (lwakura) নতুন সরকারে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। আরেকজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হলেন মানরে (Sanjo) যিনি তার দীর্ঘ নির্বাসন জীবন কাটানোর পর চোলু বাহিনীর সাথে কিয়োটো প্রত্যাবর্তন করেন। Reischar-র মতে নতুন সরকারে এই দুই পদস্থ সরকারি ব্যক্তিত্বের ভূমিকা ছিল প্রতীকী। তাঁদের অধস্তন সাধারণ বংশজাত কর্মীরা মূল ক্ষমতা করায়ত্ব করে। তিনি আরো বলেন যে নতুন ব্যবস্থায় প্রকৃত নেতৃত্ব প্রধানত সামুরাই শ্রেণীর হাতে ছিল যারা এই বিপ্লব (মেজী পুনঃপ্রতিষ্ঠা) সংঘটিত করেছিল। তাঁরা দক্ষতার সাথে ডাইনিয়া (Court noble) টেরা অতিক্রমের মাধ্যমে মূল ক্ষমতা ভোগ করে।
মার্কসবাদী ঐতিহাসিকদের বিশ্লেষণে মেরী শাসনব্যবস্থা ছিল স্বৈরতান্ত্রিক। মেজা নেতৃবৃন্দ টোকুগাওয়া সামন্ততন্ত্রের পতনের সময়কাল থেকে পুঁজিবাদের আবির্ভাবের মধ্যে সেতু রচনা করেছিল। জন হ্যালিডের (Jon Halliday) মতে একদল পরিবর্তনকামী সামন্তপ্রভুর (সাতসুমা, চোযু, হিজেন ইত্যাদি) সঙ্গে বুর্জোয়া শ্রেণীর বোঝাপড়া-ই মেজী পুনঃপ্রতিষ্ঠাকে বিশেষত্ব দান করেছে। বস্তুত মেজী সম্রাটের পুনঃপ্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিশেষ করে শোগুন-বিরোধী আন্দোলন সংগঠনের ক্ষেত্রে উচ্চ-নীচ সকল শ্রেণীর সামুরাই, ডাইমিয়ো, ধনী বণিক শ্রেণী, বিদ্রোহী কৃষক সকলেরই কম-বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ঐতিহাসিক হল ও লাটুরেট শোগুন-বিরোধী আন্দোলনে সামুরাই বা নিম্নবর্গীয় সামুরাই শ্রেণীর প্রধান ভূমিকার কথা বলেছেন। মেজী রেস্টোরশনের পরও দেখা যায় বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী সামুরাই শ্রেণীর হাতেই প্রকৃত নেতৃত্ব থাকে যারা ডাইমিয়ো, রাজপারিষদ এবং সম্রাটের মাধ্যমে মূল ক্ষমতা ভোগ করে।
নতুন ব্যবস্থায় মুখ্য ভূমিকা পালনকারী নেতাদের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল তাদের তারুণ্য। পশ্চিমী গোষ্ঠীর তিন সামুরাই নেতার (চোর কিডো, সাতসুমার ওকুবো ও সাইগো) বয়স ৩৫ থেকে ৪১-এর মধ্যে ছিল। চোयू গোষ্ঠীর ইনোউয়ে (Inoue) এবং ইটোর বয়স হল যথাক্রমে ৩৩ ও ২৭। এদের মধ্যে সবচেয়ে প্রবীন রাজপারিষদ ইয়াকুরা-র (Iwakura) বয়স ছিল ৮৩ আর সাজো (Sanjo)-র বয়স ছিল মোটে ৩১। নবীন নেতৃত্বের আরেক বৈশিষ্ট্য হল এঁদের অতি সাধারণ সামাজিক প্রেক্ষাপট।
১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দের পরবর্তীকালে জাপানে পরিবর্তনের হাওয়া না বইলে তারা শোগুন প্রশাসনে কখনো এতটা রাজনৈতিক ক্ষমতার অধিকারী হতে পারতেন না। কিডোর মত উচ্চ বংশজাত সামুরাইরা হয়তো তাদের নিজস্ব ক্ষেত্রে উচ্চ পদাধিকারী হত। কিন্তু সাইগো ও ইটোর মত নিম্নবংশজাত সামুরাইরা কখনো সেনা ও স্থানীয় আধ্যাত্মিক নেতার বেশি উপরে উঠতে পারতেন না। নবীন প্রজন্মের নেতাদের এই অতি সাধারণ সামাজিক প্রেক্ষাপট থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার হয় যে তারা সকলেই অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ও প্রতিভার অধিকারী ছিলেন, তা না হলে তাঁরা এত উপরে কখনোই উঠতে পারতেন না। জাপানের প্রাচীন শাসনকাল (Ancien regime) সম্পর্কে তাঁদের আবেগপূর্ণ অঙ্গীকার ছিল। শোগুন যুগের সামন্ততান্ত্রিক শ্রেণী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে তাঁদের এই জেহাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল এক মুক্ত ব্যবস্থা গঠন যেখানে যোগ্যতাই হবে উন্নতির একমাত্র মাপকাঠি।