তাইপিং বিদ্রোহের ব্যর্থতার কারণ । তাইপিং বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়েছিল কেন। তাইপিং বিদ্রোহের ব্যর্থতার কারণ গুলি আলোচনা করো।
তাইপিং বিদ্রোহের আগুন যেভাবে চীনের বিভিন্ন প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল, তা দেখে মনে হয়েছিল যে তাইপিংরা মাঞ্চুবংশের উচ্ছেদ ঘটিয়ে স্থায়ীভাবে তাদের মহান শান্তির রাজ্য কায়েম করবে। দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে এই সংগ্রাম চললেও এবং চীনের ১৮টি প্রদেশের মধ্যে ১৬টি প্রদেশে ছড়িয়ে পড়লও শেষ পর্যন্ত এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়। গৃহযুদ্ধ যতই দীর্ঘায়িত হইতে থাকে তাইপিং রাজ্যের অস্তিত্ব ততই বিপন্ন হতে থাকে এবং এর গন ত্বরান্বিত হয়।
তাইপিং বিদ্রোহীদের মতাদর্শতগত বিরোধ ও দুর্বলতা এই বিদ্রোহের ব্যর্থতাবে অনিবার্য করে তোলে। তাঁদের মাঞ্চু বিরোধী নীতি যেমন বহু চীনাবাসীকে তাদের পতাকাতলে সমবেত করেছিল তেমনি কনফুসীয় নীতির বিরুদ্ধাচারণ, মন্দির ও মূর্তির ধ্বংস সাধন এবং গ্রামের জনজীবনকে অচল করে তোলায় তারা চীনা পণ্ডিত ও কৃষক শ্রেণীর সহানুভূতি হারিয়েছিল। তাদের খ্রিস্টধর্মের প্রতি গভীর আস্থা তাও ও বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা ভাল চোখে দেখেননি। হুং জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস ও ধর্মীয় উন্মাদনাকে বিপ্লবের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। তিনি তাইপিং সৈন্যদের মধ্যে প্রচার করেন যে তারা যুদ্ধে প্রাণ দিলে এবং নির্ভীক সেনায় পরিণত হলে তারা স্বর্গে যাবেন। খ্রিস্টধর্মের দ্বারা মাত্রাতিরিক্তভাবে প্রভাবান্বিত হবার ফলে তিনি গুপ্তসমিতিগুলির সঙ্গে সহযোগিতা বর্জন করেন।
ধর্মকে জাতীয়তাবাদের উপরে স্থান দেওয়ার ফলে জাতীয়তাবাদী বিপ্লবী-রূপে তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এবং White Lotus বিদ্রোহীদের মত তিনি ধর্মীয় দস্যু বা “religious bandit”-এ রূপান্তরিত হন। সকল নারী ও পুরুষ একে অপরের ভাই বোন, তাইপিংদের এই আদর্শ কনফুসীয় সম্পত্তি ও স্তরবিন্যস্ত সামাজিক আদর্শের বিরোধী ছিল। তাছাড়া তাঁদের স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা মানবিক সম্পর্কের মূল ধারার বিরোধী ছিল । সাধারণ মানুষের পক্ষে তা পালন করা সম্ভব ছিলনা। ইং-এর গৃহীত খ্রিস্টধর্মের অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য এবং নিজেকে যীশুর কনিষ্ঠ ভ্রাতা বলে ঘোষণা বিদেশীদের সহানুভূতি অর্জনে ব্যর্থ হয়েছিল। ইম্যানুয়েল সুর মতে বস্তুত তাঁদের ধর্মীয় আদর্শ চীনা এবং পশ্চিমীদের উভয়কেই সমান ভাবেই দূরে ঠেলে দিয়েছিল (Indeed, their religious ideologies alienated both Chinese and Westerners alike)।
ফেয়ারব্যাঙ্ক লিখেছেন যে, তাইপিংরা যেমন রক্ষণশীল পণ্ডিত জেন্ট্রি সম্প্রদায়কে বিরোধী করে তুলেছিলেন তেমনি বিদ্রোহী Triad Society’-র সঙ্গে মৈত্রী গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন। (They repelled the conservative scholar gentry class yet failed to achieve an alliance with the Triad Society)।
বিদ্রোহের সূচনা পর্বে যখন তাইপিং বিদ্রোহীরা Triad Society-র কিছু শব্দ ও অভিধা গ্রহণ করেছিল তখন Triad-দের একজন নেতা হুং তা চুয়ান (Hung Ta-Chuan) তাইপিংদের অন্যতম পরামর্শদাতা ছিলেন। এই সময় অনেক Triad সদস্য তাইপিংদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল। ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে Triad Society-র সদস্যরা অ্যাময় এবং সাংহাইতে স্থানীয়ভাবে বিদ্রোহ সংঘটিত করলেও নানকিং-এর তাইপিংরা তাদের সাহায্য প্রদানে ব্যর্থ হয়। Triad-দের একটি শাখা (যারা Small Sword Society নামে পরিচিত ছিল) সাংহাই-এর প্রাকারবেষ্টিত শহর দখল করেছিল এবং মিং বংশ ও তাইপিংদের নামে ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেছিল। কিন্তু ১৭ মাস পরে মাঞ্চু সামরিক বাহিনীর দ্বারা তাদের বিদ্রোহ দমিত হয়। এই সময় নানকিং থেকে তাইপিংরা তাদের প্রকৃত কোন সাহায্যই পাঠাতে পারেননি। আসলে তাইপিং নেতৃবৃন্দ বিদেশী সাহায্যের কেন্দ্র হিসেবে সাংহাই-এর গুরুত্ব উপলব্ধি করতে সক্ষম হননি এবং পাশ্চাত্য শক্তিবর্গের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের সুবিধা গ্রহণ করার কোনও উদ্যোগই তারা নেননি।
তাইপিং বিদ্রোহ পরিচালনায় কৌশলগত ত্রুটি এই বিদ্রোহের ব্যর্থতাকে অনিবার্য করে তুলেছিল। তারা পশ্চাতভাগ সুরক্ষার কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করেন নি। নানকিং দখলের পরে তাদের উচিত ছিল উত্তরে অভিযান চালিয়ে পিকিং দখল করে নেওয়া এবং মাঞ্চু রাজদরবারের ওপর আক্রমণ হানা। কিন্তু লিন ফেং সিয়াং (Lin Feng hsiang) এর নেতৃত্বে উত্তরে যে অভিযান পাঠানো হয়েছিল তা তাইপিং সেনাবাহিনীর প্রধান অংশ ছিল না। মাঞ্চু রাজদরবারের পক্ষে তাই এই আক্রমণ প্রতিরোধ করতে কোন অসুবিধা হয়নি এবং রাজনৈতিক শক্তির বৈধ কেন্দ্ররূপে এবং প্রতিরোধের মূল শক্তি হিসেবে এর অস্তিত্ব টিকে ছিল) পিকিং দখল সম্ভব না হওয়ার দরুন তাইপিংদের ইয়াংসি নদীর দু ধারে গড়ে তোলা মাঞ্চু সেনা শিবির ধ্বংস করা উচিত ছিল। কিন্তু তা তারা করতে পারেনি। উপরন্তু তাইপিং অনুগামীদের মধ্যে পরস্পর বিরোধী দলের সৃষ্টি হয় যা তাদের যোদ্ধা এবং শাসক হিসেবে দুর্বল করে তুলেছিল। কোয়াংটুং এবং কোয়াংশি প্রদেশে তাইপিংদের মধ্যে এরূপ দলগত বিরোধ প্রকট আকার ধারণ করে।
তাইপিং নেতৃবৃন্দের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব, পারস্পরিক দ্বেষ ও আদর্শগত বিরোধ তাইপিং ব্যর্থতার একটি বড় কারণ ছিল। হুং-এর নেতৃত্বাধীন আদি পাঁচজন তাইপিং নেতৃবৃন্দের মধ্যে দক্ষিণ ও পশ্চিমের রাজারা ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দের যুদ্ধে প্রাণ হারান। পূর্ব ও উত্তরের রাজারা ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে ভ্রাতৃঘাতীযুদ্ধে প্রাণ হারান। রাজা উপাধিধারী তাইপিং নেতৃবৃন্দের মধ্যে পারস্পরিক বিদ্বেষ তাইপিং আন্দোলনকে দুর্বল করে দিয়েছিল। ধৃর্ত Yang Hsiu-Ching সমাধিস্থ অবস্থায় ঈশ্বরের সন্নিধ্য লাভ করতেন বলে প্রচারিত হওয়ায় তাইপিং নেতৃত্বে তাঁর নিয়ন্ত্রণ বাড়ে।
অন্যদিকে হুং ঈশ্বরপুত্র হওয়া সত্বেও ঈশ্বরের বাণী তাঁর মধ্যে প্রকাশ না পাওয়ায় ইয়াং-এর মাধ্যমে পাওয়া ঈশ্বরের বাণী নেতৃবৃন্দের পরামর্শ সভায় একটি বড় শক্তি হিসেবে কাজ করত) ইয়াং নানকিং এর বাইরে রাজবাহিনীকে বিপর্যস্ত করায় হুং-এর নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সক্ষম হন। এর ফলে ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বরে হুং উত্তরের রাজা ওয়েই চ্যাং হুই (Weichang hui)-কে নিয়োগ করেন ইয়াংকে হত্যা করার জন্য। ওয়েই ইয়াং, তাঁর পরিবার এবং অনুগামীদেরও হত্যা করেন। এই পরিস্থিতিতে হুং বাধ্য হন Wei-কে হত্যা করতে। এই আত্মঘাতী সংগ্রামে টিকে থাকা সহকারী রাজা শি তা কাই (Shih Ta-kai) তাঁর অনুগামীদের নিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম চীনে অভিযান করেন; উদ্দেশ্য ছিল চুয়ানে শি তা কাই একটি স্বাধীন বিদ্রোহী রাজ্য স্থাপন করা। কিন্তু ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে সহকারী রাজা শি তা কাই জেচুয়াচন নিহত হন। এইভাবে হত্যালীলা চালিয়ে হুং তার প্রথম সারির নেতাদের সরিয়ে তার রাজ্য শাসনের জন্য মধ্যমেধার নেতাদের নিয়োগ করেন। ফলে তাইপিং আন্দোলনের পূর্বের সেই তেজ হারায় এবং দুর্নীতির পথ উন্মুক্ত হয়। ফেয়ার ব্যাঙ্কের ভাষায় “The movement lost its spark, its early austerity gave way to profligacy and corruption”।
তাইপিং বিদ্রোহের ব্যর্থতার কারণ ছিল নেতৃবৃন্দের মধ্যে ইর্ষা ও অন্তর্দ্বন্দ্ব যখন তাদের আন্দোলনকে স্তিমিত করে দিয়েছিল, তখন এই আন্দোলন দমনের জন্য মাঞ্চু সরকার নব উদ্যমে লিপ্ত হয়। সেং কুয়ো ফ্যানের নেতৃত্বে স্থানীয় স্বদেশরক্ষী সেনাদলগুলিকে (Militia) উন্নত সামরিক শিক্ষা দান করে এবং অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত ক’রে একটি সুসংগঠিত সেনা বাহিনী গড়ে তোলা হয়। এই সেনাবাহিনী তাইপিংদের বিদ্রোহ দমনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
তাইপিং নেতৃবৃন্দের আদর্শচ্যুতি ও নৈতিক অবক্ষয় এই অন্দোলনের প্রাণশক্তি নষ্ট করে ফেলে। তাইপিং নেতৃবৃন্দের ঘোষিত আদর্শ এবং ব্যক্তিগত জীবন যাত্রার মধ্যে বিস্তর ফরাক লক্ষ্য করা যায়। নানকিং দখলের পরেই তাঁরা বিলাস ব্যসনে নিমজ্জিত হয়। বিপ্লবীরা ব্যক্তিগত সম্পত্তি নাশের কথা বললেও বহু নেতাই বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন। তাঁরা এক বিবাহ প্রথা, স্বামী-স্ত্রীর পৃথকভাবে বাস করা এবং নারী পুরুষের সাম্যের কথা বলেন। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে হুং-এর ৮৮ জন উপপত্নী East king-এর ৩৬ জন, North king-এর ১৪ জন জন এবং Assistant king বা সহকারী রাজার ৭ জন উপপত্নী ছিল। নারীদের আবাসিক হলঘর ভেঙ্গে ফেলার পর প্রত্যেক তাইপিং সদস্য তাদের পদমর্যাদা অনুযায়ী সেখানকার নারীদের ভাগ করে নেন। কনফুসিয়াস ও মেনসিয়াসের গ্রন্থাদি পাঠ সাধারণে জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেও হুং স্বয়ং ঐ গ্রন্থাদি পাঠ করতেন এবং কনফুসিয়বাদের নিরিখে তার খ্রিস্টধর্মকে তিনি ব্যাখ্যা করেন।
তিনজন অত্যন্ত দক্ষ চিং সমরনায়ক সেং কুয়ো ফ্যন, লি হুং চ্যাং ও সো-সুং টাং তাইপিং বিদ্রোহ দমন করেন। তাইপিং নেতাদের নৈতিক অবক্ষয়, প্রশাসনিক অযোগ্যতা, প্রথাগত ধর্ম ও আচার-আচরণের বিরোধিতা সাধারণ মানুষকে মাঞ্চু রাজবংশের দিকে তাকাতে বাধ্য করেছিল। সম্রাটের সৈন্যবাহিনী দক্ষ নেতাদের নেতৃত্বে তাইপিং ঘাঁটি আক্রমণ করলে কৃষকেরা তাইপিংদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। মহান শান্তির স্বর্গরাজ্যের ধারণা বাস্তবায়িত হয়নি। সাধারণ মানুষ, দরিদ্র কৃষক, কারিগর, খনি শ্রমিক ও অন্যান্যরা যে স্বপ্ন দেখেছিল তা বাস্তবে রূপ পরিগ্রহ করেনি। বরং তারা দেখেছিল নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা। জেন্ট্রি শ্রেণী বিদ্রোহ দমনে সরকারি পক্ষকে সহায়তা দিয়েছিল। বিদ্রোহের শুরুতে বিদেশি পশ্চিমি শক্তিগুলি মনে করেছিল যে চিনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসন্ন, বিদ্রোহীদের প্রতি তারা সহানুভূতিসম্পন্ন ছিল। কিন্তু তাইপিং নেতারা পশ্চিমি দেশগুলিকে অধীনস্থ দেশ হিসেবে গণ্য করতে শুরু করলে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পালটে যায়, বাণিজ্য ব্যাহত হয়।
সাংহাই আক্রান্ত হলে মার্কিন ও ব্রিটিশ অফিসাররা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দের পর বিদেশিদের সমর্থন চলে যায় মাথু সরকারের দিকে। বিদেশি অর্থ, অস্ত্রশস্ত্র ও আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে বিদ্রোহীরা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারত। সাংহাই বন্দরের ওপর আধিপত্য স্থাপনের সুযোগ হাতছাড়া করে বিদ্রোহীরা বিদেশি সমর্থন ও অভিযানের একটি প্রধান ঘাঁটি হারিয়েছিল। মার্কিন সেনাপতি ফ্রেডারিক টাউনশেন্ড ওয়ার্ডার, পরে ব্রিটিশ সেনাপতি মেজর চার্লস গর্ডন ও ফরাসি সৈন্য শুধু • সাংহাই রক্ষা করেনি, ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে নানকিং-এর পতনে বিশিষ্ট ভূমিকা নিয়েছিল। হুং আত্মহত্যা করেন, তাঁর লয়াল কিং লি শিউ চেং বন্দি হন, পরে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। শেষপর্বে তিনি ছিলেন তাইপিং নেতাদের মধ্যে একমাত্র যোগ্য ব্যক্তিত্ব। এভাবে চিনের ইতিহাসের এক রক্তাক্ত বেদনাদায়ক অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটে।
মূল্যায়ন:
সবশেষে বলা যায় যে, তাইপিং আন্দলনকারীরা তাদের আন্দোলনের প্রথম পর্বে মাঞ্চু সরকারের বিরুদ্ধে বিদেশী শক্তির যে সহানুভূতি ও সহযোগিতা পেয়েছিলেন তা তাঁরা ধরে রাখতে পারেননি বা ধরে রাখার কোন চেষ্টাও করেননি। পাশ্চাত্য শক্তির স্বীকৃতি ও সহযোগিতা অর্জনের পরিবর্তে তাঁরা তাদের অধীন করে রাখতে চেয়েছিল এবং সাংহাইয়ে বিদেশী বাণিজ্যের ক্ষতি করেন। এর ফলস্বরূপ বিদেশীরা তাইপিংদের সমর্থন করার পরিবর্তে মাঞ্চুসরকারকে সমর্থন করতে শুরু করে।
১৮৬০ ও ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে সাংহাই এ বিদেশী প্রতিরক্ষার ফলেই Loyal King-এর পক্ষে শহরের দখল নেওয়া সম্ভব হয়নি, যা স্বর্গীয় রাজধানীকে গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ থেকে বঞ্চিত করে চূড়ান্ত পতনের পথ প্রশস্ত করে। বস্তুতঃ ব্রিটিশ ও আমেরিকানদের বিরোধিতা তাইপিং আন্দোলনের ব্যধতার একটি বড় কারণ ছিল। এই বিদ্রোহ দমনে টাউনশেন্ড ওয়ার্ড এবং লিন্ডলে নামে আমেরিকান ও ব্রিটিশ নাগরিকের বিশেষ ভূমিকা ছিল। কূটনৈতিক অদক্ষতার কারণেই তাইপিংরা বিদেশীদের শত্রু বানিয়ে নিজেদের পতন ডেকে আনে।