StudyMamu

Site is under construction some pages not work properly. Please bear with us.

তুংচি পুনঃস্থাপন কি প্রকৃত পুনঃস্থাপন ছিল

 

তুংচি পুনঃস্থাপন কি প্রকৃত পুনঃস্থাপন ছিল । তুঙ চি পুনঃ প্রতিষ্ঠা কি প্রকৃতই পুনঃ প্রতিষ্ঠা ছিল ।

নব্য কনফুসীয় মতবাদের প্রবক্তারা হলেন তুং চি সংস্কার আন্দোলনের নেতা। কনফুসিয়াসের লি দর্শনের ভিত্তিতে তাঁরা রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন। নৈতিকতা, সৎ আচরণ ও আদর্শ হবে রাষ্ট্র গঠনের মূলনীতি, জনগণের জীবিকার ব্যবস্থা করতে হবে, শান্তি ও সমৃদ্ধি ফিরে আসবে। এই রাষ্ট্রীয় দর্শনের ভিত্তি হল কৃষিনির্ভর আমলাতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ (Its vision was limited to the ancient Confusian model of the agrarian-bureaucratic state)। এই রাষ্ট্র ও সমাজ উচ্চবর্গীয় নেতা-নির্ভর, স্তরবিন্যস্ত, কোনোমতেই সত্যবাদী নয় (The philosophy was strongly elilist and hierarchic) ত্যু চি সংস্কার পর্বের একটি উল্লেখযোগ্য হল মাঞ্চু ও চিনা শাসকগোষ্ঠীর মধ্যে যে বিরোধ ছিল তা অনেকখানি দুর হয়ে যায় (The Manchu leadership  had almost merged into the Chinese upper class)। মাঞ্চুরিয়ায় চিনাদের প্রবেশে আগের মতো আর বাধা ছিল না, উচ্চপদে চিনারা নিযুক্ত হন, মাঞ্চু ও চিনাদের মধ্যে বিবাহের ক্ষেত্রেও বাধা অপসারিত হয়।

তুং চি  পুনঃস্থাপন প্রত্যাবর্তনের যুগে সবচেয়ে বড়ো সমস্যা ছিল বিদ্রোহ দমন করে রাজশক্তির পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ তাইপিং বিদ্রোহ দমিত হয় কিন্তু উত্তরাঞ্চলে চলেছিল নিয়েন বিদ্রোহ। সেং কুয়ো ফ্যাং ও পরে লি হং চাং ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ নিয়েন বিদ্রোহ দমন করে শান্তিস্থাপন করেন। চিনের দক্ষিণ-পশ্চিমে ও উত্তর পশ্চিমে মুসলিম বিদ্রোহ ছিল। দক্ষিণ-পশ্চিম বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন তুওয়েন শিউ, তালি ছিল তার বিদ্রোহের ঘাঁটি, ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে তালির পতন ঘটে, বিদ্রোহী নেতা তৃওয়েন শিউ নিহত হন।

চিনের উত্তর-পশ্চিমে মুসলিম বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন মা-জুয়া-লুং, এই বিদ্রোহ দমিত হয়। কিয়াওচাও অঞ্চলে মিয়াও উপজাতির বিদ্রোহও দমিত হয়। ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ উত্তর পশ্চিমে সর্বত্র শান্তি স্থাপিত হয়, চিং সাম্রাজ্যের কোথাও আর বিদ্রোহ ছিল না, শুধু চিনের অধীন তুর্কিস্তান ছিল ব্যতিক্রম। যোদ্ধা ও শাসকরা দেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছিলেন, কিন্তু শাসনের ক্ষেত্রে বহু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। গৃহযুদ্ধ ও বৈদেশিক আগ্রাসনের ফলে দেশের বহু মানুষ জীবিকাচ্যুত হন, অনেক কৃষি অঞ্চল পতিত হয়ে যায়, তুঁতে গাছের চাষ নষ্ট হয়েছিল, রেশম উৎপাদন ব্যাহত হয়েছিল। এসবের সঙ্গে ছিল বন্যা, খরা, দুর্ভিক্ষ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ।

গ্রামীণ সম্পন্ন ভূস্বামীদের নেতৃত্বে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার প্রয়াস চালানো হয়। জীবিকাচ্যুত মানুষদের মধ্যে ভূমি বণ্টন করা হয়, কৃষি যন্ত্রপাতি, বীজ ও সার সরবরাহ করে কৃষির সমৃদ্ধি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হয়। অনেক অনাবাদী ও পতিত জমি চাষের আওতায় এসেছিল। সরকার কৃষকদের দেয় করের হার কমিয়েছিল, ভূমিকর মকুব করেছিল (Government action was mainly in the form of moral exhortation and direction, widespread remission of land tax payments in devastated areas, some reduction of tax rates, and occassionally large-scale rehabilitation, such as the resettlement of farmers on the land with seeds and tools)। ফেয়ারব্যাঙ্ক জানাচ্ছেন সরকারি উদ্যোগের ফলে সাধারণ কৃষক নয়, লাভবান হয়েছিল ভূস্বামীরা।

তুং চি সংস্কারের লক্ষ্য ছিল কম আয় ও কম ব্যয়। রাষ্ট্র ভূমিব্যবস্থার বৈপ্লবিক সংস্কার করে রাষ্ট্রীয় আয় বাড়ানোর চেষ্টা করেনি (The main emphasis of economic policy was not on increased production and revenue but on frugality, the proper use of fixed taxes and resources)। বাণিজ্য শুল্ক ও অভ্যন্তরীণ শুল্ক থেকে রাষ্ট্রের আয় বেড়েছিল, লেও হার্টের নেতৃত্বে বৈদেশিক বাণিজ্য থেকে আমদানি-রপ্তানি শুল্ক আদায়ের ব্যবস্থা হয়েছিল। মুদ্রাব্যবস্থার সংস্কার করে শাসকশ্রেণী একটি স্থিতিশীল মুদ্রাব্যবস্থার পত্তন করেন। শিল্প ও বাণিজ্যের উন্নতি ঘটিয়ে দেশের সম্পদ বৃদ্ধির কথা নেতারা ভাবেননি বলা যায়। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে শাসকশ্রেণীর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল রক্ষণশীল। এই পর্বে পুনর্গঠনের বেশ কিছু কাজ হাতে নেওয়া হয়েছিল, পুনর্নির্মাণ সংক্রান্ত কার্যালয় স্থাপিত হয়। মন্দির, প্রাকার, বাঁধ ইত্যাদি সংস্কারের কাজ হাতে নেওয়া হয়। বন্যার হাত থেকে দেশকে বাঁচানোর জন্য নতুন প্রকল্প রচিত হয় তবে প্রকল্পগুলি কার্যকর করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট উদ্যোগ ছিল না। স্থানীয় জেন্ট্রিদের সহায়তা নিয়ে সেচ প্রকল্প ও শস্যাগারগুলি পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছিল।

তুং চি সংস্কার পর্বের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হল সুংগলি ইয়ামেন নামক বৈদেশিক দপ্তরের প্রতিষ্ঠা (১৮৬১)। বিদেশিরা এধরনের প্রশাসনিক বিভাগের দাবি জানিয়েছিল। রাজকুমার কুং হন এই বিভাগের প্রধান তবে বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা সম্রাটের হাতে রয়ে যায়। রুশ, ব্রিটিশ, ফরাসি, মার্কিন ও উপকূল প্রতিরক্ষা এই পাঁচ ভাগে দপ্তরটি বিভক্ত ছিল। এই দপ্তরের আরও কাজ ছিল, চিনের আধুনিকীকরণে এই বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এই বিভাগের অধীনে বিদেশি ভাষা ও সংস্কৃতি শিক্ষাদানের জন্য পিকিং শহরে স্থাপিত হয় তুং ওয়েন কুয়ান নামক ভাষা শিক্ষাদানের কলেজ (College of foreign languages)। এই কলেজে পরে অঙ্ক ও জ্যোতির্বিদ্যা শিক্ষাদানের ব্যবস্থা হয়েছিল। মার্টিন এই কলেজে যোগ দিয়ে এখানে পদার্থবিদ্যা, আন্তর্জাতিক আইন ইত্যাদি পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা করেন। এই কলেজে একটি মুদ্রণযন্ত্র স্থাপিত হয় এবং বহু বিদেশি গ্রন্থ অনূদিত হয়। আইন, রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি, রসায়ন, পদার্থবিদ্যা ও প্রাকৃতিক দর্শনের গ্রন্থগুলি অনুবাদের ব্যবস্থা হয়েছিল। পরে সাংহাই, ক্যান্টন ও ফুচাওয়ে এধরনের শিক্ষায়তন স্থাপিত হয়। এসব বিদ্যায়তন থেকে শিক্ষাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা পরবর্তীকালে চিনের বৈদেশিক দপ্তরে নিযুক্ত হন, দুজন মন্ত্রীর পদ লাভ করেন। এই সংস্থা থেকে হেনরি হুইটনের এলিমেন্টস অব ইন্টারন্যাশনাল ল (Elements of International Law) চিনা ভাষায় অনুবাদ করা হয়।

তুং চি পুনঃস্থাপন ও তুঙ চি পুনঃপ্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিশিষ্ট অবদান রেখেছিলেন কেন্দ্র ও প্রদেশের কয়েকজন রাজপুরুষ। কেন্দ্রে প্রত্যাবর্তনের নেতৃত্বে ছিলেন প্রিপ কুং এবং তার সঙ্গে সহযোগিতা করেন ওয়েন সিয়াং, শেং কুই ফেন, লিতাং সি প্রমুখ কেন্দ্রের উচ্চপদস্থ রাজপুরুষরা। প্রাদেশিক স্তরে প্রত্যাবর্তনের নেতৃত্ব দেন সেং কুয়োফ্যান, সো সুং টাং ও লি হুং চাং। এদের যোগ্যতা ও দক্ষতা ছিল তবে সকলে ন্যায়পরায়ণ সৎ মানুষ ছিলেন না, দেশবাসীর কাছে তাঁরা ন্যায়নিষ্ঠার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেননি। সকলের ওপরে ছিলেন সম্রাটের বিধবা মাতা জু-সি। প্রত্যাবর্তনের নেতারা দেশকে শক্তিশালী করে রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থায় ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন, রাষ্ট্র ও সমাজে মৌল পরিবর্তন ঘটানোয় তাঁদের আগ্রহ ছিল না।

পশ্চিমি বিজ্ঞান, শিক্ষা ও প্রযুক্তি গ্রহণে তাঁদের আপত্তি ছিল না তবে রাষ্ট্র ও সমাজের ভিত্তি হিসেবে তারা কনফুসীয় ব্যবস্থাকে আকড়ে ধরে রেখেছিলেন। সংস্কারকরা রাষ্ট্র, সমাজ ও অর্থনীতি সম্পর্কে রক্ষণশীল অবস্থান গ্রহণ করেন। মেজি প্রত্যাবর্তনের মতো তাঁরা পশ্চিমি মডেলে আধুনিকীকরণের কথা ভাবেননি, তাঁরা একটি সমভার স্থিতিশীল রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। সংস্কারকদের মধ্যেও মতবিরোধ ছিল, পশ্চিমি গণিত ও জ্যোতির্বিদ্যা শিক্ষাদানের প্রস্তাব উঠলে তার বিরোধিতা হয়েছিল। সংস্কারকদের একটি গোষ্ঠী পুরোনো কনফুসীয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে শ্রেষ্ঠ বলে মনে করতেন।

বিদ্রোহ ও বিপ্লবের অভিঘাতে বিধ্বস্ত চিনকে পুনর্গঠনের লক্ষ্য সামনে রেখে কয়েকটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। এগুলির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল গ্রামীণ অর্থনীতির সংস্কার। তাইপিং বিদ্রোহের সময় চিনের ভূমিব্যবস্থায় পরিবর্তন ঘটেছিল, অনেক অঞ্চল পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছিল। এসব অঞ্চলে জেন্ট্রির উদ্যোগে নতুন করে বসতি গড়ে তোলা হয়, পতিত, অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনা হয়েছিল। গ্রামাঞ্চলে সেচের ব্যবস্থা করা হয় কেন্দ্রীয় উদ্যোগে, কৃষকদের ঋণ বীজ, সার ও বলদ দিয়ে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এসবের ফলে কৃষির সম্প্রসারণ ঘটেছিল। কিউ চিয়াং এবং কিয়াংসি প্রদেশের জনসংখ্যা পাঁচগুণ বেড়ে গিয়েছিল। হেনান এবং উত্তর কিয়াংসুর পলাতক কৃষকরা দক্ষিণ কিয়াংশু এবং উত্তর চেচিয়াং-এ বসতি স্থাপন করেছিল।

কর্মহীন সৈনিকদের গ্রামীণ কৃষিতে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হয়েছিল। জমির মালিকানার ক্ষেত্রেও পরিবর্তন ঘটেছিল। কনফুসীয় আদর্শের মূল কথা হল কৃষি-নির্ভর সমাজ এবং কৃষকের হাতে ভূমির মালিকানা। এই আদর্শ রূপায়ণের চেষ্টা হয়েছিল। যেসব অঞ্চলে জেন্ট্রি শ্রেণী বিদ্রোহের কবলে পড়েছিল সেসব অঞ্চলে কৃষিজমিতে কৃষকের মালিকানা স্থাপিত হয়। বিদ্রোহের জন্য অনেক অঞ্চলে জমির দাম কমে যায়, এজন্য কৃষকরা কিছু জমি কিনতে তবে জেন্ট্রি-ভূস্বামীরা জমির অধিকার হারায়নি, বেশির ভাগ অঞ্চলে তাদের অধিকার বজায় ছিল। দেশের বিপর্যস্ত অবস্থার সুযোগ নিয়ে সরকারি কর্মচারী, সৈনিক ও মহাজনরা জমি কিনেছিল। 

তুং চি সংস্কারকরা দেশের কর ব্যবস্থার পুনর্গঠনের কথা ভেবেছিলেন। জনগণের মধ্যে ভূমিকরের হার নিয়ে প্রচণ্ড অসন্তোষ ছিল। সংস্কারকরা মনে করেন ভূমিকর হ্রাস করা হলে কৃষির সম্প্রসারণ ঘটবে, দেশের সমৃদ্ধি আসবে। এজন্য কোনো কোনো অঞ্চলে ভূমিকর ৫০ শতাংশ হ্রাস করা হয়েছিল। খরা বা বন্যাপীড়িত অঞ্চলে ভূমিকর মকুবের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে সরকারি নির্দেশে ভূমিকর হ্রাসের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তুং চি সংস্কারের সমস্যা হল সর্বত্র এই নির্দেশ কার্যকর করা হয়নি, স্থানীয় জেন্ট্রি ও ম্যাজিস্ট্রেটদের অদক্ষতা ও অপদার্থতা এজন্য দায়ী ছিল। আরও সমস্যা হল সরকারি কর হ্রাস করা হলেও কৃষকরা সকলে লাভবান হয়নি কারণ অনেকে ছিল ভাগচাষি, তাদের খাজনা ভূস্বামীরা কমায়নি। এব্যাপারে সরকারি উদ্যোগ ছিল না, কৃষকের শোষণ ও উৎপীড়ন অব্যাহত ছিল।

তুং চি সংস্কারকরা ‘জনগণের জীবিকা’ সংক্রান্ত সমস্যার কথা তুলেছিলেন কিন্তু তার সমাধানের জন্য কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। তারা কৃষিভিত্তিক সমাজের পক্ষপাতী ছিলেন এজন্য শিল্প-বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য বড়ো ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। সামরিক বাহিনীর প্রয়োজনটা ছিল বড়ো, ভোগ্যপণ্য উৎপাদনের জন্য ব্যাপক শিল্পায়নের কথা ভাবেননি। অভ্যন্তরীণ শুল্ক লিজিন অভ্যন্তরীণ পণ্য চলাচলের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করত, পণ্যের দাম বেশি হত। লিজিন আদায়ের ক্ষেত্রে কয়েকটি নির্দেশ জারি করা হয়। লিজিন আদায়ের ক্ষেত্রে যে জবরদস্তি ও দুর্নীতি ছিল তার অনেকটা দূর করা সম্ভব হয়েছিল। তাতে ব্যবসা-বাণিজ্য তেমন বাড়েনি কারণ নতুন পণ্য উৎপাদনের হয়নি। শ্রম বিভাজন, নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বা মূলধনের জোগান যথেষ্ট ছিল না।

মূল্যায়ন : 

সরকার দেশের উদ্যোগী শ্রেণীর সম্প্রসারণের অনুকূল পরিবেশ গড়ে তুলতে সাহায্য করেনি। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির কথা ভাবা হয়েছিল, জলপথের খানিকটা সম্প্রসারণ ঘটেছিল। রাষ্ট্রীয় পোতে যাতায়াত শুরু হয়েছিল, চায়না মার্চেন্টস স্টিম নেভিগেশন যাত্রা শুরু করেছিল। রেলপথের সম্প্রসারণ ও ডাক ও তার বিভাগের কাজকর্মের খানিকটা উন্নতি ঘটেছিল। তবে সংস্কারকরা এবিষয়ে ঐকমত্যে উপনীত হতে পারেননি। চিনের মুদ্রা ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও বড়ো ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছিল। কাগজি মুদ্রা ও লোহার মুদ্রা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। তুং চি সরকার ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে আবার তামার মুদ্রা চালু করলে সমস্যার আংশিক সমাধান হয়, মুদ্রা ব্যবস্থায় জনগণের আস্থা ফিরে এসেছিল, মুদ্রাস্ফীতির হার খানিকটা কমে এসেছিল।

Share

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *