পাহাড়ি চিত্রকলা কে পাহাড়ি চিত্রকলা বলা হয় কেন
মুঘল রাজত্বের শেষদিকে মহম্মদ শাহের আমলে নাদির শাহ ভারত আক্রমণ করেন (১৭৩৯ খ্রিস্টাব্দ)। দিল্লীতে তিনি হত্যালীলা চালালে বহু মানুষ আতঙ্কে দিল্লী ত্যাগ করেন। পাঞ্জাবের পাহাড়বেষ্টিত হিন্দু রাজ্যগুলি অনেক নিরাপদ ছিল। এইকারণে দলে দলে মানুষ এইসব রাজ্যে আশ্রয় গ্রহণ করেন। ইতিপূর্বে পাহাড়ী রাজাদের অনেকেই মুঘল দরবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতেন এবং মুঘল কায়দায় তাঁরা অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন। এইসব রাজাদের অনেকেরই আবার মুঘল দরবারের মত বেতনভোগী শিল্পী ছিলেন। এই পাহাড়ি বেতন ভোগী শিল্পীদের মধ্যে অনেকেই চিত্রশিল্প অঙ্কন করতো। যেহেতু তারা পাহাড়বেষ্টিত অঞ্চলে বসবাস করত তাই পাহাড়ি চিত্রকলা কে পাহাড়ি চিত্রকলা বলা হয় ।
তাঁরা রাজস্থানী চিত্র ও গুজরাটী পটের অনুকরণেই ছবি আঁকতেন। রাজাদের মধ্যে কেউ কেউ তাঁদের চিত্রকরদের দিল্লীতে এনে মুঘল শিল্পীদের কাছ থেকে মুঘল শৈলীতে প্রশিক্ষিত করেছিলেন।