রুশ জাপান যুদ্ধের কারণ গুলি আলোচনা করো । রুশ জাপান যুদ্ধের পটভূমি।
প্রথম চীন-জাপান যুদ্ধে (১৮৯৪-১৮৯৫) জাপানের অতি দ্রুত ও অপ্রত্যাশিত বিজয়। এবং শিমোনোসেকির সন্ধির দ্বারা প্রাপ্ত ভূখণ্ডসমূহ এই চমকপ্রদ স্বাক্ষর বহন করে যে এই ক্ষুদ্র প্রাচ্য রাষ্ট্র শুধুমাত্র সামন্ততন্ত্রের বেড়াজাল থেকে বেড়িয়ে এসে আধুনিক পাশ্চাত্য জগতে আত্মপ্রকাশ করেনি, সে আধুনিক যুগে ক্ষমতা সৃষ্টির গোপন সূত্রটিও আবিষ্কার করেছে। কিন্তু জাপানের এই হঠাৎ উত্থান পাশ্চাত্য রাষ্ট্রগুলি ভাল চোখে দেখেনি। ইউরোপীয় শক্তিবর্গ বিশেষ করে রাশিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্স জাপানের লিয়াওটাং উপদ্বীপ এবং ফরমোজা ও পেস্কাডোর্স দ্বীপগুলি লাভ করা দেখে হিংসাপরায়ণ হয়ে উঠল।
চীন জাপান যুদ্ধে জাপানের জয় চীনের নিরাপত্তার চেয়ে রাশিয়ার নিরাপত্তার পক্ষে ভীতিকর ছিল, কারণ লিয়াওটাং উপদ্বীপ ও পোর্ট আর্থার বন্দর জাপানকে অর্পণের মাধ্যমে পিকিং-এ জাপানের রাজনৈতিক ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং মাঞ্চুরিয়ায় রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা সৃষ্টি করেছিল। তাই লি হুং চ্যাং-এর আবেদনে সাড়া দিয়ে রাশিয়ান জার এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন।
রাশিয়া চীনের বন্ধু সেজে, ফ্রান্স ও জার্মানির দ্বারা সমর্থনপুষ্ট হয়ে জাপানকে লিয়াওটাং উপদ্বীপ পরিত্যাগ করার দাবি জানায়। জাপান এই ত্রিশক্তির হস্তক্ষেপের ফলে লিয়াওটাং উপদ্বীপ চীনকে সমর্পণ করতে বাধ্য হয়। কিন্তু রাশিয়ার প্রতি তার প্রতিহিংসার মনোভাব জেগে ওঠে। চীন জাপানের কাছ থেকে লিয়াওটাং নেওয়ার বিনিময়ে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতেও স্বীকৃত হয়েছিল। পিকিং সরকার জাপানকে এই ক্ষতিপূরণ দিতে গিয়ে প্রথম বিদেশী আর্থিক সাহায্য নিতে বাধ্য হয়, যার ফলে তার অর্থনীতির উপর বিদেশী প্রভাব দিন দিনবৃদ্ধি পেতে থাকে। ১৮৯৫ সালে চীন রাশিয়া ও ফ্রান্সের কাছ থেকে প্রথম ঋণ নিয়েছিল এবং তার বিনিময়ে ফ্রান্স ইউনান, কোয়াংসি ও কোয়াংটুং অঞ্চলে খনি ব্যবসার সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেছিল।
১৮৯৬ সালে রাশিয়া মাঞ্চুরিয়ায় একই ধরনের সুবিধা চীনের কাছ থেকে আদায় করেছিল—ট্রান্স সাইবেরীও রেলপথ মাঞ্চুরিয়ার মধ্য দিয়ে ভ্লাডিভোস্তক পর্যন্ত সম্প্রসারিত করার অনুমতি, খনি ব্যবসার সুযোগ বিশেষ করে মাঞ্চুরিয়ায় লোহা, সোনা, কয়লা প্রভৃতি এবং মাঞ্চুরিয়ার বনজ সম্পদ সব কিছু-ই মাঞ্চুরিয়ায় রাশিয়ার প্রভাব বৃদ্ধির সহায়ক হয়েছিল। এছাড়া পোর্ট আর্থার ও কিয়েও চাও বন্দর দুটি নৌঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের অধিকার রাশিয়াকে সামরিক দিক থেকে সুবিধাজনক অবস্থায় রেখেছিল যা জাপানের রোষের অন্যতম কারণ ছিল। জাপানের কাছে রাশিয়ার সবচাইতে গর্হিত কাজ হল চীনের কাছ থেকে লিয়াওটাং উপদ্বীপ ও পোর্ট অর্থার বন্দর ইজারা নেওয়া, যা (লিয়াওটাং উপদ্বীপ) চীন শিমোনোসেকির সন্ধির দ্বারা জাপানকে সমর্পণ করেছিল। মাঞ্চুরিয়ায় রাশিয়ার উত্তরোত্তর প্রভাব বৃদ্ধির ফলে কোরিয়ায় জাপানী স্বার্থ বিঘ্নিত হয়। বস্তুতপক্ষে রাশিয়া কোরিয়ায় অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেছিল এবং ইয়ালু নদীতে কাঠের ব্যবসার সুযোগ নিয়েছিল। কোরিয়ার অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ, জাপানীদের বিব্রত করে তুলেছিল। তারা বুঝেছিল যে রাশিয়ার অভিসন্ধি জাপানের কোরিও স্বার্থের পরিপন্থী, যা উপেক্ষা করা সম্ভব নয়।
রুশ জাপান যুদ্ধের কারণ ছিল ইঙ্গ-জাপান মৈত্রী । রাশিয়ার মত বিশাল এক ইউরোপীয় দেশের সঙ্গে সংগ্রামে লিপ্ত হবার পূর্বে ইংল্যান্ডের মত শক্তিশালী দেশের মিত্রতা ও সমর্থন জাপানের বিশেষ প্রয়োজন ছিল। ইংল্যান্ডের নিরপেক্ষতা ও বিশেষ অবস্থায় মিত্রপক্ষের সঙ্গে যুদ্ধে যোগদান বিষয়ে আশ্বস্ত হয়ে জাপান রাশিয়াকে যুদ্ধে মোকাবিলা করতে সাহসী হয়। ইতিমধ্যে জাপানের শক্তিও দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে শিমোনোসেকি-র সন্ধি থেকে পাওয়া বিপুল পরিমাণ ক্ষতিপূরণ জাপানী অর্থনীতি ও বৈদেশিক বাণিজ্যের দ্রুত সম্প্রসারণ ঘটায়, পাশ্চাত্য ঋণকেও কাজে লাগানো হয়। এর ফলে জাপানের সামরিক ও নৌ-খাতে ব্যয় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায় এবং কোরিয়ায় সে সবচেয়ে প্রভাবশালী বিদেশী শক্তিতে পরিণত হয়।
কোরিয়ায় রাশিয়ার কার্যকলাপ জাপানের কাছে অসহনীয় হয়ে উঠেছিল এবং এ কথা তাদের কাছে অতি স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল যে কোরিয়ায় জাপানী স্বার্থ সুরক্ষিত করতে হলে এবং মাঞ্চুরিয়া থেকে রাশিয়াকে অপসারিত করতে হলে জাপানকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে হবে। জাপানের পক্ষে কোরিও স্বার্থকে উপেক্ষা করা সম্ভব ছিল না। ঊনবিংশ শতকের শেষ পর্বে দ্রুত শিল্পায়নের পরিপ্রেক্ষিতে জাপান কোরিয়ার বাজারের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল। জাপানের শিল্পসামগ্রী বিক্রির জন্য এবং বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্য সরবরাহের জন্য যথাক্রমে কোরিয়ার বাজার ও চালের উপর নির্ভরশীল ছিল। এই পরিস্থিতিতে জাপানের কাছে দুটো পথ খোলা ছিল :
(১) হয় রাশিয়াকে জাপানের সাথে সুদূর প্রাচ্যের রাজনীতিতে অংশ নিতে দিতে হবে, নতুবা ।
(২) কোন বিদেশী পাশ্চাত্য শক্তির সাথে এই ব্যাপারে চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। জাপানের কাছে দ্বিতীয় বিকল্পটি অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য ও যুক্তিগ্রাহ্য মনে হয়। জাপান গ্রেট ব্রিটেনের মধ্যে এমন এক পাশ্চাত্য বন্ধুর খোঁজ পেল যে জাপানের মতই একটি উপযুক্ত বন্ধুরাষ্ট্রের খোঁজ করছিল। রাশিয়ার দক্ষিণ দিকের অভিযান ব্রিটেনের স্বার্থের পরিপন্থী ছিল, কারণ এর ফলে পিকিং-এ রাশিয়ার প্রভাব বৃদ্ধি পাবে। ফ্রান্সের ব্যাপারেও গ্রেট ব্রিটেন ভীত ছিল, কারণ ফ্রান্স রাশিয়ার সাথে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তিতে আবদ্ধ ছিল এবং এই দুটি শক্তি পিকিং থেকে হ্যানকাও পর্যন্ত রেল লাইন স্থাপনের পরিকল্পনা বানাচ্ছিল যা ইয়াংসিতে ব্রিটেনের স্বার্থের পক্ষে ক্ষতিকারক ছিল।
দক্ষিণে রাশিয়ার প্রভাব বৃদ্ধি সম্পর্কে ইংল্যান্ড এতই ভীত ছিল যে সে জাপানের সাথে সন্ধি স্থাপনের ব্যাপারে ব্যগ্র হয়ে উঠল। ইংল্যান্ডের এই প্রচেষ্টা জাপানের সামরিক প্রধান ইয়েমাগাটা ও প্রধানমন্ত্রী কাটসূরা কর্তৃক সমর্থিত হয়েছিল। এর ফলস্বরূপ ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে ইঙ্গ-জাপানী সন্ধি স্বাক্ষরিত হয় যার দ্বারা জাপান চীনে ব্রিটেনের স্বার্থ এবং ব্রিটেন কোরিয়া ও চীনে জাপানের স্বার্থ রক্ষাকল্পে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়। এই সন্ধির অপর শর্তাদি হল যদি মিত্রপক্ষের কোন রাষ্ট্র তৃতীয় কোন রাষ্ট্রের সাথে যুদ্ধরত থাকে তাহলে অপর মিত্ররাষ্ট্র নিরপেক্ষতা অবলম্বন করবে। কিন্তু যদি কোন মুহূর্তে নতুন কোন রাষ্ট্র শত্রুপক্ষের সঙ্গে যোগ দেয় তাহলে অপর মিত্ররাষ্ট্র সাহায্যের জন্য মিত্রপক্ষের হয়ে যুদ্ধে যোগ দেবে। এই চুক্তি পাঁচ বছরের জন্য স্থায়ী হবে, কিন্তু যদি কোন মিত্র রাষ্ট্র এই সময় যুদ্ধরত থাকে তবে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও শান্তি স্থাপন পর্যন্ত এই চুক্তি কার্যকর থাকবে।
ইঙ্গ -জাপান মৈত্রী চুক্তির প্রথম ও প্রধান ফল হল রুশ-জাপান সম্পর্কের অবনতি। এই সন্ধি ফ্রান্সকে ব্রিটেনের ভয়ে রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধে যোগদান থেকে বিরত করে। ইঙ্গ-জাপান মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষরের পর রাশিয়া তার নিজের ভুল বুঝতে পারে এবং মাঞ্চুরিয়া থেকে সৈন্য অপসারণের ব্যাপারে আগ্রহী হয়। জার দ্বিতীয় নিকোলাস তিন দফায় ৮ মাসের মধ্যে মাঞ্চুরিয়া থেকে সব সৈন্য অপসারণে রাজি হন। অক্টোবরে প্রথম দফায় সৈন্য অপসারিত হলেও দ্বিতীয় দফায় সৈন্য অপসারণ কার্যকর হয়নি। বস্তুত রুশ সেনাবাহিনীকে আরো শক্তিশালী করা হয়েছিল। ফলে শান্তি স্থাপনের শেষ প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়।
রাশিয়ার পরবর্তী কার্যকলাপ রুশ-জাপান যুদ্ধকে অনিবার্য করে তোলে। এসব সত্ত্বেও রাশিয়া ও জাপান ১৮৯৬ ও ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে যথাক্রমে ইয়ামাগাতা-লোবোনভ ও নিশি রোজেন কনভেনশন চুক্তি সম্পাদন করে। কোরিয়ায় উভয় দেশের স্বার্থ ও কোরিয়ার স্বাধীনতা রক্ষার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েও শেষ পর্যন্ত তা রক্ষা করা হয়নি। রাশিয়ার আগ্রাসী মনোভাবের উপযুক্ত জবাব দেবার জন্য জাপানও তৎপর হয়। ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে রুশ প্ররোচনায় সংগঠিত ত্রিশক্তি হস্তক্ষেপের অপমান সে ভোলেনি। চীনের পরাজয়ের পর জাপান তার সামুদ্রিক শক্তিকে চতুৰ্গুণ বাড়িয়েছিল এবং পাঁচটি পাশ্চাত্য ঘাটির উপরে শক্তি কেন্দ্রীভূত হয় যা পোর্ট আর্থার এবং ভ্লাডিভোস্তকের নিরাপত্তা বিপন্ন করেছিল। রুশ বাহিনীকে খাদ্য ও রসদ সরবরাহের সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন করার সব প্রয়াস নেওয়া হয়। সমগ্র জাপান সম্রাট এবং সামরিক নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়। টোয়ামা মিৎসুরা (Toyama Mitsura)-র দ্বারা প্রতিষ্ঠিত জাতীয়তাবাদী সংগঠন ‘Black Dragon Society” অথবা “Black Dragon River” জাপানে যুদ্ধ উন্মাদনা সৃষ্টি করেছিল যা প্রতিরোধের ক্ষমতা জাপানী রাজনীতিবিদদের ছিল না।
১৯০৩ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে মস্কো থেকে পোর্ট আর্থার পর্যন্ত সরাসরি রেলচলাচল শুরু হয়। ঐ বছরের গ্রীষ্মকালে কাৎসুরা (Katsura) রাশিয়াকে প্রস্তাব দেয় যে রাশিয়া কোরিয়ায় জাপানের বিশেষ অধিকার মেনে নিলে জাপান মাঞ্চুরিয়ার রাশিয়ার রেলপথের স্বার্থকে মেনে নেবে। জাপান ও রাশিয়া উভয়েই চীন তথা কোরিয়ার স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা মান্য করবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মুক্তদ্বার নীতি অনুসরণ করবে। রাশিয়া এই প্রস্তাবের উত্তরে জানায় যে সে এই প্রস্তাব গ্রহণ করতে রাজি, যদি জাপান প্রকাশ্যে ঘোষণা করে যে মাঞ্চুরিয়ায় তার কোন স্বার্থ নেই। জাপান এই প্রকাশ্য ঘোষণা করতে টালবাহানা করে। এরপরেও দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলতে থাকলেও তা ফলপ্রসু হয়নি। ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দের ৬ই ফেব্রুয়ারী জাপান রাশিয়ার সঙ্গে যাবতীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ই ফেব্রুয়ারী জাপান হঠাৎ পোর্ট আর্থার বন্দর আক্রমণ করলে রুশ-জাপান যুদ্ধ শুরু হয়।
মূল্যায়ন :
জাপান ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দের গোড়ার দিকে যুদ্ধের পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। জাপানের সেনাপতিমণ্ডলীর প্রধান কোডামা জেনটারো সম্রাটকে বলেছিলেন যে দশটি যুদ্ধের মধ্যে জাপান ছ’টিতে জয়ী হতে পারবে ( There is a good chance that Japan will win six out of ten victories on the battlefield)। পশ্চিমি ঐতিহাসিকদের মধ্যে ডব্লিউ. এল. ল্যাঙ্গার মনে করেন যে আত্মরক্ষার তাগিদে জাপান যুদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল (it can at least be said for Japan that her policy was based upon a real need. The argument for self-preservation is in her favour)। কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনা ব্যর্থ হলে ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ও জাপান পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল। মুকডেন ও লিয়াওটুং-এর স্থলযুদ্ধ এবং সুসিমার নৌযুদ্ধে রাশিয়া পরাস্ত হয়। এই যুদ্ধে জাপানের প্রচুর অর্থ ও লোকক্ষয় হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ৫ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত পোর্টসমাউথের সন্ধিতে রুশ-জাপান যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে।