StudyMamu

Site is under construction some pages not work properly. Please bear with us.

বিজ্ঞান বিপ্লবের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিহাস লিখন পদ্ধতি আলোচনা করো

বিজ্ঞান বিপ্লবের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিহাস লিখন পদ্ধতি আলোচনা করো।

ষোড়শ ও সপ্তদশ শতকের বিজ্ঞান বিপ্লব এবং তজ্জনিত যুক্তিবাদী চেতনা ইতিহাস রচনার (ইতিহাস লিখন পদ্ধতি )ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কোপারনিকাস, কেপলার, গ্যালিলিও এবং নিউটনের বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার মানুষের চিন্তা-চেতনার ক্ষেত্রে এক বিপ্লব সাধন করে।

ঐতিহাসিক উপাদানসমূহের সংগ্রহ, তার সত্যাসত্য যাচাই করা, যথাযথ সংরক্ষণ নতুন ইতিহাস বিজ্ঞানের (New Science of History) মাপকাঠি হয়ে ওঠে। ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালিতে এই ধরনের গবেষণাধর্মী ইতিহাস রচনার (ইতিহাস লিখন পদ্ধতি) ক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়। মুদ্রাবিজ্ঞান (Numismatics) ও Epigraphy ব্যবহার করে ঐতিহাসিক তথ্য যাচাই করা আগের তুলনায় অনেকাংশে ফলপ্রসূ হয় এবং ভাবজগৎ থেকে ইতিহাস ক্রমশ বেরিয়ে এসে যুক্তিনির্ভর হয়ে পড়ে।

ইতিহাসের একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি-প্রক্রিয়া (Methodology) তৈরি হয় যা তৎকালীন প্রকৃতিবিজ্ঞানের (Natural Sciences) পরীক্ষামূলক পদ্ধতিকে অনুসরণ করে। দার্শনিক বিজ্ঞানী (Philosopher Scientist) ফ্রান্সিস বেকন (Francis Bacon ) এর পথিকৃৎ ছিলেন। উক্ত শতকের উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিকেরা হলেন জোসেফ স্ক্যালিগার (Joseph Scalliger) এবং ক্রিশ্চান সেলারিয়াস (Christian Cellarius)।

Share

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *