সিস্টেম পদ্ধতির সুবিধাগুলি উল্লেখ কর

সিস্টেম পদ্ধতির সুবিধাগুলি উল্লেখ কর।

সিস্টেম পদ্ধতির সুবিধা:

(১)সিস্টেম পদ্ধতি সুপরিকল্পিতভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করার নির্দেশ দেয় এবং কাঠামো প্রস্তুতে সহায়তা করে। ফলে শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনের পথ সুগম হয়।

(২) সিস্টেম পদ্ধতি পরিবেশ অনুযায়ী উপযুক্ত কর্ম সম্পাদনে সাহায্য করে।

(৩) শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় মানুষ, মেশিন ও মাধ্যমের সার্থক সমন্বয় ঘটিয়ে তার কাজকে আরও সহজ ও উন্নততর করে।

(৪) সিস্টেম পদ্ধতি মূল্যায়নে নমনীয়তা নীতি প্রয়োগ করে মূল্যায়নকে আরও বাস্তব ও বিজ্ঞানসম্মত করে।

(৫) সিস্টেম দৃষ্টিভঙ্গী একটি এমন কাঠামো সরবরাহ করে যার উপর ভিত্তি করে শিক্ষার পরিবর্তনের পরিকল্পনা তৈরি করা যায়।

(৬) নির্দিষ্ট লক্ষ্যে উপনীত হওয়ার জন্য যে সমস্ত ‘সম্পদ বস্তু’ উপযুক্ত বা অন্য প্রকারের (অর্থাৎ অনুপযুক্ত) বলে মনে হবে, সেগুলি চিহ্নিত করা বা চেনার কাজে সাহায্য করা।

(৭) সম্পদের প্রয়োজনীয়তা, সেগুলির উৎস এবং পরিমাণ, সময় ও অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে সম্পর্কিত সুযোগ-সুবিধাগুলি সম্পর্কে জ্ঞানলাভে সহায়তা করা।

(৮) যে লক্ষ্য নির্ধারিত করা হয়েছে তাতে উপনীত হওয়ার জন্য যন্ত্র, মাধ্যম ও ব্যক্তির মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ব্যবহার সম্পর্কে সহায়তা করা।

(৯) শিক্ষার্থীদের শিখনের পরিপ্রেক্ষিতে সিস্টেমের সাফল্যের জন্য যে সমস্ত উপাদান বা অংশের প্রয়োজন—সেগুলি বিধিবদ্ধভাবে উপস্থাপনে সহায়তা করা।

(১০)নিরবচ্ছিন্ন মূল্যায়ন ছাত্রদের মধ্যে বাঞ্ছনীয় পরিবর্তন আনতে সক্ষম বলেই এই পদ্ধতি কার্যপদ্ধতির দৃঢ়তা বা কাঠিন্য দূর করে কার্যপদ্ধতিকে কোমল, নমনীয় ও অধিকতর গ্রহণযোগ্য করে তুলতে সহায়তা করে।

মূল্যায়ন:

শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় সিস্টেম পদ্ধতি প্রযুক্ত হয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাপনার কাজকে আরও সহজতর করেছে এবং কাঙ্খিত লক্ষ্যের পথ অনেক সুগম করেছে। তা ছাড়া এই পদ্ধতি মানবসম্পদ, অর্থ, মাধ্যম ইত্যাদির সংমিশ্রণ ঘটিয়ে সর্বাধিক সাফল্য পাওয়ার চেষ্টা করে। তাই শুধু শিক্ষা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেই এই পদ্ধতির প্রয়োগ সীমাবদ্ধ রাখবে চলবে না, শিক্ষার সমস্তক্ষেত্রে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *