StudyMamu

Site is under construction some pages not work properly. Please bear with us.

আজীবিক মতবাদ সম্পর্কে যা জানো লেখো

আজীবিক মতবাদ সম্পর্কে যা জানো লেখো । টীকা লেখ আজীবিক ধর্ম বা আজীবিক মতবাদ।

ভূমিকা :

বৌদ্ধ ও জৈন ধর্ম ছাড়াও সমকালীন ভারতে ব্রাহ্মণ্যবাদ বিরোধী আর একটি ধর্মীয় মতবাদের প্রকাশ ঘটেছিল। অবশ্য ব্যাপ্তি ও উৎকর্ষ উভয়দিক থেকেই আগের দুটির তুলনায় এর গুরুত্ব ছিল কম। এই নতুন ধর্মীয় সম্প্রদায়টি আজীবিক নামে সুবিদিত। মকখলি বা মংখলিপুত্তি গোশাল ছিলেন আজীবিক ধর্মের প্রবর্তক প্রকৃতপক্ষে এর প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা। তবে বৌদ্ধ সাহিত্যে তাঁর দুই পূর্বসূরীর নাম ঘোষিত হয়েছে। এঁরা হলেন নন্দ বচ্চ ও কিস সংকিচ্চ। এই ধর্ম সম্পর্কে অল্প যা কিছু জানা যায়, তার প্রায় সবই এর বিরোধী জৈন ও বৌদ্ধদের গ্রন্থ থেকে পাওয়া। 

খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকে রচিত পতঞ্জলির মহাভাষায় এদের উল্লেখ আছে। এর মূল তত্ত্ব ছিল অদৃষ্টবাদ। বৌদ্ধ ও জৈন সাহিত্যে এই ধর্ম সম্পর্কে কিছু কিছু উদ্ধৃতি থেকে জানা যায় যে, মানুষের ইচ্ছাশক্তির ওপর এঁদের মোটেই বিশ্বাস ছিল না। এঁরা মনে করতেন, পৃথিবীর সবকিছুই আগে থেকে নিয়তি দ্বারা নির্দিষ্ট হয়ে আছে। এমনকি মানুষের সাধারণ কাজকর্মও এর বাইরে নয়। বস্তুত, নিয়তিই এঁদের ধর্মের মর্মবস্তু। এঁরা মনে করতেন, যতক্ষণ না নিয়তি তাকে অন্তিম পর্যায়ে নিয়ে যায়, ততক্ষণ পুনর্জন্মের ক্রিয়া নির্দিষ্ট পথেই চলে। এই ধর্মের বিস্তার বহুদূর ঘটেনি। পূর্বে অঙ্গ থেকে পশ্চিমে অবস্তী পর্যন্ত তা বিস্তৃত হয়েছিল। মহামতি অশোক এর পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন। তবে বৈরাগ্যের প্রতি অত্যধিক প্রীতি ও কঠোর কৃচ্ছ্রসাধনের দরুন এই মতবাদ বেশিদিন তার অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে পারেনি। 

চার্বাক দর্শন :

বৌদ্ধ ধর্ম তথা ওপরে আলোচিত প্রতিবাদী ধর্মগুলির পাশাপাশি সমসাময়িক যুগে আর একটি ভিন্ন দার্শনিক চিন্তাধারার উন্মেষ ঘটেছিল যা পরে বস্তুবাদী বা চার্বাক দর্শন নামে পরিচিতি লাভ করে। প্রসঙ্গত বলা যায় বুদ্ধদেব, মহাবীর, মখলি গোশাল প্রমুখরা পুরোপুরি নাস্তিক বা বস্তুবাদী ছিলেন না কারণ একান্ত সীমাবদ্ধ শক্তির অধিকারী অতিপ্রাকৃত এক সত্তার অস্তিত্ব তাঁরা স্বীকার করতেন এবং আত্মার দেহ থেকে দেহান্তরে যাত্রার বিষয়টিকে তাঁরা মেনে নিয়েছিলেন। ঠিক এর বিপরীত কথা শুনিয়েছিলেন বুদ্ধদেব ও মহাবীরের সমসাময়িক দার্শনিক অজিত কেশকম্বলী, যাঁকে পরিপূর্ণ বস্তুবাদের প্রথম প্রবক্তা বলে মনে করা হয়। তিনি বলেছিলেন,

“…যাঁরা দাবি করেন যে বস্তুর উর্ধ্বে বিভিন্ন সত্তা বিদ্যমান তাদের কথা মূল্যহীন, অর্থহীন ও মিথ্যা। দেহের মৃত্যুতেই মূর্খ ও পণ্ডিত উভয়েরই জীবন শেষ হয়ে গিয়ে তারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে যায়। মৃত্যুর পর তাদের কোনো অস্তিত্বই থাকে না।” বলা বাহুল্য, এর মাধ্যমে নাস্তিকতার বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে।

অজিত কেশকম্বলীর এই চিন্তাধারার আভাস মেলে পরবর্তীকালের চার্বাক দর্শনে। চার্বাক দর্শনের উদ্ভাবক হিসাবে সাধারণভাবে বৃহস্পতির নাম করা হয়। এই কারণে এর আর এক নাম বার্হস্পত্য দর্শন। প্রত্যক্ষভাবে চার্বাক দর্শন আলোচিত হয়েছে। মাধবাচার্যের সর্বদর্শন সংগ্রহে, হরিভদ্রসুরীর ষড়দর্শন সমুচ্চয় এবং শান্তরক্ষিতের তত্ত্বসংগ্রহে।

ওপরে উল্লেখিত বস্তুবাদী দর্শনই চার্বাক ও লোকায়ত দর্শনের প্রধান বৈশিষ্ট্য। এখানে উল্লেখ করা বাঞ্ছনীয় হবে যে চার্বাক ও লোকায়ত এই দুই ধ্যানধারণা সমার্থক নয়। চার্বাকের তুলনায় লোকায়তের ক্ষেত্র অনেক বেশি ব্যাপক। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় লোকায়ত চিন্তাধারা তথা দর্শনে ভক্তি, পূজা পার্বণ ও আচার অনুষ্ঠানের স্থান আছে, কিন্তু চার্বাক দর্শনে এগুলি অনুপস্থিত।

পাঁচটি মূল বিষয় চার্বাক দর্শনের অন্তর্ভুক্ত। এগুলি হল – (১) স্বভাববাদ। এর অর্থ হল স্বভাবই জগৎ বৈচিত্র্যের কারণ। অর্থাৎ জগৎ স্রষ্টা বা ঈশ্বরের ধারণা ভ্রান্ত। (২) পরলোক বিলোপবাদ। এর অর্থ হল পরলোকগামী আত্মার অভাবে পরলোকের ধারণার কোনো বাস্তব ভিত্তি নাই। (৩) দেহাত্মবাদ। এর মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে দেহের অভ্যন্তরস্থ আত্মার কল্পনা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

(৪) প্রত্যক্ষ প্রামাণ্যবাদ। অর্থাৎ যা প্রত্যক্ষ হয় না তার কোনো অস্তিত্ব নেই। অপ্রত্যক্ষ বিষয়ের অনুমান একান্তই অবাস্তব। এই ধারণা অনুযায়ী ঈশ্বরকে যেহেতু প্রত্যক্ষ করা যায় না, সেহেতু ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই। (৫) ভূতবাদ। এর মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, সকল জাগতিক বস্তুর উৎপত্তি ঘটেছে ভূত চতুষ্টয় (মৃত্তিকা, জল, অগ্নি ও বায়ু) থেকে। 

সুতরাং চার্বাক দর্শনের মূল কথা হল দেহাতিরিক্ত আত্মার অস্তিত্বের কোনো প্রমাণ নেই। কেননা, প্রত্যক্ষই একমাত্র প্রমাণ। আত্মা বলে যা প্রচার করা হয় তা নিছকই অনুমান। বলা বাহুলা, অনুমান কখনোই প্রমাণ হতে পারে না। এককথায় চার্বাক দর্শন হল—অনুমান যেহেতু অসিদ্ধ সেহেতু অনুমান নির্ভর সকল জ্ঞান যথা ঈশ্বর, আত্মা, পরলোক সব কিছুই অসিদ্ধ বা ভ্রান্ত। এই দর্শনে জোর দেওয়া হয়েছে যথাসম্ভব সুখ ভোগের ওপর। তাই বলা হয়েছে সুখ ভোগ করে নেওয়াই হল পুরুষার্থ। পরলোকে কল্পিত সুখের আশায় ইহলোকে সুখভোগ করা থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখা কখনোই উচিত নয়। বৌদ্ধ ও জৈনধর্মের ন্যায়পরায়ণতা ও সদাচার থেকে চার্বাকরা যে দূরে বিরাজ করতেন তার প্রমাণ মেলে তাদের কথায়—

‘যতদিন বাঁচো বেঁচে থাকো সুখে, পান কর ঘৃত ঋণও যদি তাতে হয়। এদেহ তোমার পুড়ে ছাই হয়ে গেলে, কিভাবে পাবে এ জীবন ফিরে তুমি!’

ষড়দর্শন :

বৈদিক ব্রাহ্মাণ্য ধর্ম ও কো নির্ভর সমাজ কাঠামোর বিরুদ্ধে একদিকে যখন প্রতিবাদী ধর্মগুলি গর্জে উঠেছিল তখন বৈদিক ধর্মের প্রগতিশীল ব্যক্তিরা একেবারে থেমে থাকেন নি। বৈদিক ধর্মকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য ঐ ধর্মের অভ্যন্তরীণ কিছু সংস্কার সাধনে তাঁরা ব্রতী হন। একদিকে যেমন বৈদিক দেব-দেবীর প্রাধান্য নতুনভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় অপরদিকে তেমনি কয়েকটি দার্শনিক ধারার উন্মেষ ঘটে, যেগুলিতে বেদের প্রাধান্যকে স্বীকার করে নেওয়া হয়। এই দার্শনিক ধারাগুলির সংখ্যা ছয় বলে এগুলিকে বলা হয় ‘ষড়দর্শন’। এই ছয়টি ধারা বা মতবাদকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। প্রতিটি শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত দুটি করে মতবাদ এবং এগুলি পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও একটি অপরটির পরিপূরক। এই তিনটি শ্রেণী হল যথাক্রমে ন্যায় ও বৈশেষিক; সাংখ্য ও যোগ এবং মীমাংসা ও বেদান্ত।

ন্যায় দর্শনের আদি উৎস হলেন অক্ষপাদ গৌতম। এই দর্শনে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে জ্ঞানতত্ত্ব ও তর্কবিদ্যার ওপরে। ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন ন্যায় দর্শনের একটি প্রধান দিক। এই দর্শনে অনুরাগী ব্যক্তিরা বিশ্বাস করেন যে ঈশ্বর শুধু জগৎ সৃষ্টি করেন না, তিনি এই সৃষ্টিকে রক্ষাও করেন। আবার প্রয়োজন বোধ করলে একে ধ্বংস করতেও পারেন। এই দর্শন কর্মফলবাদে বিশ্বাসী। ন্যায়মতে মানুষ নিজেই নিজের কর্মফল ভোগ করে। স্বাভাবিকভাবেই আত্মার অস্তিত্বকে এই দর্শন স্বীকার করে।

ন্যায় দর্শনের পরিপূরক হল বৈশেষিক। বৈশেষিক দর্শনে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে পদার্থবিদ্যার ওপর। এই দর্শনের মূল কথা হল এই যে প্রকৃতি গঠিত হয়েছে পরমাণু নিয়ে। কিন্তু পরমাণু ও আত্মা এক নয়। বৈশেষিক দর্শন অনুযায়ী মুক্তি নির্ভর করে এই উপলব্ধির ওপর ভিত্তি করে যে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড গঠিত হয়েছে পরমাণু দিয়ে এবং ঐ পরমাণু আম্মা থেকে পৃথক। অর্থাৎ বন্ধ ও আত্মা পৃথক। এই দর্শনে শুধু ঈশ্বরের অস্তিত্বকে স্বীকার করা হয়েছে তাই নয়, তাকে সর্বশক্তিমান সত্তা হিসাবে সুপ্রতিষ্ঠিত রূপ দেওয়া হয়েছে।

ষড়দর্শনের মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন হল সাংখ্য। এর প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে পুরাণ প্রসিদ্ধ কপিলের নাম সুবিদিত। তবে আনুমানিক খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতকে রচিত ঈশ্বরকৃষ্ণর সাংখ্যকারিকা গ্রন্থে এই দর্শনের প্রকৃত রূপ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সাংখ্য দর্শন অনুযায়ী পুরুষই আত্মা। জৈন ধর্মের সঙ্গে এই দর্শনের কিছু মিল আছে। কেননা, এতে বলা হয়েছে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে সংখ্যাতীত আত্মা বর্তমান। এক কথায় সাংখ্য দর্শন মতে যত জীব তত আত্মা বা পুরুষ। এরা সকলেই পরস্পরের সমান। এই আত্মা বা পুরুষ নিষ্ক্রিয় ও নির্বিকার। এই দর্শনের মূল কথা হল আত্মজ্ঞান বা তত্ত্বজ্ঞান লাভের মাধ্যমেই মোক্ষ (মুক্তি) লাভ সম্ভব। সাংখ্য দর্শনের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল সত্ত্ব, রজঃ ও তমঃ—এই তিনটি গুণের প্রতি বিশ্বাস।

ষড়দর্শনের মধ্যে চতুর্থটি হল যোগ। যোগ হল প্রকৃতপক্ষে একটি সুনির্দিষ্ট ধর্মপথ, যা আমাদের নিয়ে যায় অতীন্দ্রিয় ও অলৌকিক লক্ষ্যের দিকে। পতগুলির যোগসূত্র গ্রন্থে এই দর্শনের স্পষ্ট দিক নির্দেশ থাকায় এটি পাতঞ্জল দর্শন নামেও পরিচিত। এই দর্শনে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন প্রাধান্য পেয়েছে। তবে ন্যায় দর্শনের মতো যোগ-এ ঈশ্বর সৃষ্টিকর্তা নয়। এখানে ঈশ্বর এক মহান ও সমুন্নত আত্মা, যা অন্তহীন কাল ধরে বিরাজমান। এই দর্শন বিশ্বাস করে যে মুক্তি লাভের লক্ষ্যে পৌছাতে গেলে সাধনা ও অনুশীলনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এই সাধনা ও অনুশীলনের পথ আটটি। এগুলি হল—

  • ১. আত্মসংযম বা ‘যম’। এক্ষেত্রে পাঁচটি নীতি যথা—অহিংসা, সত্যবাদিতা, অচৌর্য (চুরি না করা), দেহ ও মনের পবিত্রতা রক্ষা করা এবং লোভ সংবরণ করার কথা বলা হয়েছে।

  • ২. ‘নিয়ম’। এক্ষেত্রেরও পাঁচটি নিয়ম বা নীতি মেনে চলা অপরিহার্য। এগুলি হল – পবিত্রতা, সন্তুষ্টি, কঠোর অনাড়ম্বর জীবনযাপন, বেদাধ্যয়ন ও ঈশ্বরভক্তি।

  • ৩. ‘আসন’। বিশেষ করে পদ্মাসনে বসে ধ্যান।

  • ৪. ‘প্রাণায়াম’। অর্থাৎ নিশ্বাস ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ। 

  • ৫. ‘প্রত্যাহার’।
  • ৬. ‘ধারণ’ অর্থাৎ নাসাগ্র ভাগে বা নাভিতে বা কোনো প্রতীকে নিজেকে নিবদ্ধ রাখা।

  • ৭. ‘ধ্যান’। এর অর্থ হল যাতে নিজেকে নিবদ্ধ করা হয়েছে তার দ্বারা নিজের মন পরিপূর্ণ করে তোলা এবং

  • ৮. ‘সমাধি’। এর মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিসত্তাকে শিথিল করে সাময়িকভাবে অস্তিত্বহীন করে দেওয়া।

মীমাংসা দর্শন : 

পূর্ব মীমাংসা নামেও পরিচিত। এই দর্শনের মূল উৎস হল জৈমিনীর মীমাংসাসূত্র (আঃ খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতক)। বেদ যে চিরন্তন, স্বপ্রতিষ্ঠ ও প্রামাণ্য তা দেখানোই এই গ্রন্থের প্রধান লক্ষ্য। এই গ্রন্থের লেখক ঈশ্বরের তুলনায় বৈদিক নিয়মানুসারে যজ্ঞ ও যজ্ঞানুষ্ঠানের ওপর বেশি গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তবে মীমাংসা দর্শনে আত্মা, পরজন্মে আত্মার নতুন দেহ ধারণ ও কর্মফলবাদকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

বেদান্ত দর্শন উত্তর মীমাংসা নামেও সুবিদিত। উল্লেখ্য, ষড়দর্শনের মধ্যে বেদান্ত দর্শনই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আধুনিক কালে হিন্দু ধর্মের বৌদ্ধিক বিকাশের সঙ্গে বেদান্তের যোগ রয়েছে। বাদরায়ণ-র ব্রহ্মসূত্র হল বেদান্ত দর্শনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। বেদান্তের সর্বোত্তম ও চিরায়ত রূপ পরিলক্ষিত হয় দক্ষিণ ভারতের মহান দার্শনিক শংকর (৭৮৮-৮২০ খ্রিস্টাব্দ)-এর রচনায়। বৈদান্তিক মতবাদ গড়ে উঠেছে উপনিষদকে ভিত্তি করে। এই দর্শন অনুযায়ী বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা হলেন ব্রহ্ম বা পরমাত্মা। ব্রহ্মলাভই হল পুরুষার্থ। তবে নিরলস সাধনা ছাড়া ব্রহ্মলাভ সম্ভব নয়।

Share

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *