StudyMamu

Site is under construction some pages not work properly. Please bear with us.

আর্থার লেলউইন ব্যাশাম ও ক্রিস্টিয়ান লাসেন কারা ছিলেন। প্রাচীন ভারতচর্চায় এদের অবদান কী

আর্থার লেলউইন ব্যাশাম ও ক্রিস্টিয়ান লাসেন কারা ছিলেন? প্রাচীন ভারতচর্চায় এদের অবদান কী?

আর্থার লেলউইন ব্যাশাম ও ক্রিস্টিয়ান লাসেন কারা ছিলেন । 

ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল দুই বিদেশি লেখক হলেন ক্রিস্টিয়ান লাসেন (Christian Lassen) ও আর্থার লেলউইন ব্যাশাম (Arthur Llelwyn Basham)। আর্থার লেলউইন ব্যাশ্যাম ছিলেন সংস্কৃতজ্ঞ ও প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের প্রতি পরম শ্রদ্ধাশীল। আর্থার লেলউইন ব্যাশ্যাম সর্বপ্রথম অরাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ভারতীয় ইতিহাসের পর্যালোচনা করেন।  লাসেন ছিলেন জার্মান লেখক জার্মান ভাষায় রচিত তার গ্রন্থটির নাম হল ‘ইন্ডিশে অলটার্সটুম কুণ্ডে।

প্রাচীন ভারতচর্চায় আর্থার লেলউইন ব্যাশাম ও ক্রিস্টিয়ান লাসেনের অবদান।

রাজনীতির পরিবর্তে আর্থার লেলউইন ব্যাশ্যাম শিল্পকলা, সাহিত্য, স্থাপত্য, ভাষাতত্ত্ব ইত্যাদি নিয়ে চর্চা করেছেন। তাঁর রচিত গ্রন্থ ‘ওয়ান্ডার দ্যাট ওয়াজ ইন্ডিয়া’ (Wonder That Was India) প্রাচীন ভারতের সামগ্রিক চালচিত্র তুলে ধরে।
জার্মান ভাষায় রচিত লাসেনের গ্রন্থটির নাম হল ‘ইন্ডিশে অলটার্সটুম কুণ্ডে‘ (Indische Alterstum Kunde)। চারটি প্রকাণ্ড খণ্ডে রচিত এই আকর গ্রন্থটি প্রাচীন ভারতের রাজনৈতিক, সামাজিক, বৌদ্ধিক চালচিত্রের দিক নির্দেশ করে। এ ছাড়া তিনি উইলহেল্ম ফন শ্লেগেল-এর সহযোগী হিসেবে হিতোপদেশ-এর একটি সংস্করণ প্রকাশ করেন।
1832 খ্রিস্টাব্দে লাসেন ভবভূতি রচিত নাটক ‘মালতীমাধব‘-এর প্রথম দৃশ্যপটের একটি সংস্করণ বার করেন এবং সম্পূর্ণ লাতিন ভাষায় অনূদিত ‘সাংখ্য কারিকা’ মুদ্রণের ব্যবস্থা করেন। মুদ্রা বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি যথেষ্ট ব্যুৎপত্তির পরিচয় দেন। ইন্দো-গ্রিক রাজাদের দ্বিভাষিক গ্রিক-ব্রায়ী মুদ্রাগুলির তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে লাসেন সঠিকভাবে ব্রাক্ষ্মী লিপি পাঠোদ্ধার করেন।

1950 ও 1960-এর দশকে প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসচর্চার প্রথাগত ধারায় সহসা বিচ্যুতি ঘটে। আন্তর্জাতিক সাম্যবাদের প্রভাব ভারতবর্ষে এসে পড়ে। মার্কসীয় বস্তুবাদী দর্শন ও তার নিরিখে নতুন ইতিহাস চিন্তা জনমানসকে উদবেলিত করে।

তৎকালীন তরুণ প্রজন্ম চিন ও সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট আদর্শে দীক্ষিত হয়ে ভারতবর্ষের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিশদ বিশ্লেষণ করে এবং তার পুনারিনের ক্ষেত্রে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়। তাঁরা এক বিশেষ ধরনের Social Reconstruction Theory তে বিশ্বাস করেন, যার মাধ্যমে ভারতবর্ষের আধা-ঔপনিবেশিক ও আধা-সামন্ততান্ত্রিক অবস্থার বিলোপ ঘটিয়ে সাম্যের ভিত্তিতে এক নতুন রাষ্ট্র গড়া যায়। ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে তার প্রভাব পড়ে। প্রাচীন ভারতচর্চায় আর্থার লেলউইন ব্যাশাম ও ক্রিস্টিয়ান লাসেনের অবদান অনস্বীকার্য।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top