বাল্যবিবাহের কুফল নিয়ে অনুচ্ছেদ রচনা করো। বাল্যবিবাহের কুফল।
শিরোনাম : বাল্যবিবাহের কুফল
“অষ্টমবর্ষীয়া কন্যা দান করিলে পিতামাতার গৌরীদানজনিত পুণ্যোনয় হয়, নবমবর্ষীয়াকে দান করিলে পৃথ্বীদানের ফল হয়; দশম বর্ষীয়া পাত্রসাৎ করিলে পরত্রপবিত্র লোকপ্ৰাপ্তি হয়, ইত্যাদি স্মৃতিশাস্ত্র প্রতিপাদিত কল্পিত ফলমৃগতৃয়ায় মুগ্ধ হইয়া পরিণাম-বিবেচনা-শূন্য চিত্তে অস্মদ্দেশীয় মানুষমাত্রেই বাল্য কালে পাণি পীড়নের প্রথা প্রচলিত করিয়াছেন।
এ পর্যন্ত যে কত দারুণ অনর্থ সঙ্ঘটন হইতেছে, তাহা কাহার না অনুভব গোচর আছে? শাস্ত্রকারেরা এই বাল্যবিবাহ সংস্থাপনা নির্মিত এবং তারুণ্যাবস্থায় বিবাহ নিষেধার্থ স্ব-স্ববুদ্ধি কৌশলে এমত কঠিনতর অধর্মভাগিতার বিভীষিকা দর্শাইয়াছেন, যদ্যপি কোন কন্যা কন্যাদশাতেই পিতৃগৃহে স্ত্রীধর্মিনী হয়, তবে সেই কন্যা পিতৃমাতৃ উভয় কুলের কলঙ্কস্বরূপা হইয়া সপ্ত পুরুষ পর্যন্ত নিরম্নগামী করে এবং তাহার পিতামাতা যাবজ্জীবন অশৌচগ্রস্ত হইয়া সমস্ত লোক সমাজে অশ্রদ্বেয় ও অপাক্তেয় হয়। এইরূপে লোকাচার ও শাস্ত্রব্যবহার পাশে বদ্ধ হইয়া দুর্ভাগ্যবশত, আমরা চিরকাল বল্যবিবাহ নিবন্ধন অশেষ দেশ ও দুরপনেয় দুর্দশা ভোগ করিতেছি।