যোগাযোগ প্রক্রিয়ার উপাদানসমূহ আলোচনা কর।
যোগাযোগ স্থাপন হল একটি দ্বিমুখী প্রক্রিয়া। এই দ্বিমুখী প্রক্রিয়াটি পরিচালিত হয় কিছু সাধারণ উপাদনের মাধ্যমে। এগুলিকেই আমরা যোগাযোগের উপাদান হিসাবে গণ্য করতে পারি। এগুলি হল
- যোগাযোগের উৎস বা প্রেরক।
- যোগাযোগের বিষয়বস্তু বা তথ্য।
- যোগাযোগের মাধ্যম
- গ্রাহক
- ফিডব্যাক
- যোগাযোগের সহায়তা বা বাধা প্রদানকারী উপাদান।
প্রেরক :
যোগাযোগ প্রক্রিয়া শুরু হয় প্রেরকের কাছ থেকে। এই উৎস বিভিন্ন রকমের ধারণা, চিন্তাভাবনা, মতামত ইত্যাদি প্রেরণ করে থাকে। শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়ায় শিক্ষককেই প্রেরক হিসাবে গণ্য করা হয়।
বিষয়বস্তু :
প্রেরক যে সমস্ত অভিজ্ঞতা, চিন্তাধারা, মতামত অনুভূতি ইত্যাদি অন্যজনকে প্রেরণ করেন তাই হল বিষয়বস্তু। এই ধরনের বিষয়বস্তু যোগাযোগের উদ্দেশ্যের পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠিত বা অসংগঠিত উভয়ই হতে পারে। শিক্ষণ-শিখন ক্ষেত্রে পাঠক্রম হল বিষয়বস্তু।
মাধ্যম:
বিষয়বস্তুকে কার্যকরীভাবে সঞ্চালন করার জন্য উপযুক্ত মাধ্যম একান্ত আবশ্যক। মাধ্যম দুই রকমের হতে পারে। যেমন- বাচনিক মাধ্যম ও অ-বাচনিক মাধ্যম। যে-কোনো বিষয়বস্তুকে প্রেরক ভাষার মাধ্যমে বা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে গ্রাহকের সামনে উপস্থাপন করেন। সঞ্চালন কৌশল হিসাবে বর্তমানে প্রেরকরা encoding-এর সহায়তা নিয়ে থাকেন। encoding হল এমন একটা কৌশল যার দ্বারা প্রেরক সাংকেতিকভাবে কিছু বিষয়বস্তু গ্রাহকের মধ্যে সঞ্চালন করেন। একথা মনে রাখতে হবে যে, encoding-কে ‘decode‘ করার কৌশল গ্রাহকের মধ্যে থাকতে হবে।
গ্রাহক :
যার উদ্দেশ্যে প্রেরক কিছু বার্তা প্রেরণ করেন তিনিই গ্রাহক। তিনি encoding বার্তা decode করেন এবং সেই অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া সম্পাদন করেন। শিক্ষণ-শিখনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা হল গ্রাহক। যোগাযোগ চক্রটি ততক্ষণই পরিচালিত হবে যতক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিষয়বস্তুর প্রতি আগ্রহ থাকবে।
ফিডব্যাক:
ফিডব্যাক বলতে সাধারণত গ্রাহকের প্রতিক্রিয়াকে বোঝায়। অর্থাৎ কোনো ‘encoded‘ বার্তা গ্রহণ করার পর গ্রাহক কীভাবে সেই বার্তার প্রতি প্রতিক্রিয়া করল ভাই হল-ফিডব্যাক। এই ফিডব্যাকের সাহায্যে যোগাযোগ প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা বিচার করা হয়।