যোগাযোগ প্রক্রিয়ার তাৎপর্য কী।
1. আগ্রহ বৃদ্ধি:
যোগাযোগ প্রক্রিয়ার তাৎপর্য হল আগ্রহ বৃদ্ধি। উপযুক্ত শ্রেণিকক্ষ যোগাযোগ পাঠ্যবিষয়ে শিক্ষার্থীর আগ্রহ বৃদ্ধি করে।
2. আচরণ ধারার পরিবর্তন:
এটি শিক্ষার্থীর আচরণ ধারাতে সার্থক পরিবর্তন নিয়ে আসে। ফলে শিক্ষার্থীর আচরণে উৎকর্ষ আসে, তার দৃষ্টিভঙ্গিরও পরিবর্তন হয়।
3. অর্থবহ শিক্ষা প্রক্রিয়া:
উপযুক্ত যোগাযোগপ্রক্রিয়া শিক্ষা প্রক্রিয়াকে অর্থবহ করে তোলে। তারা শিক্ষার নির্ভরযোগ্যতা, যথার্থতা ও নৈর্ব্যক্তিকতা উপলব্ধি করতে পারে।
4. স্পষ্টতার নীতি:
শিক্ষক তাঁর ধারাণায়ন কে এমনভাবে সহজবোধ্য সরল বার্তায় রূপান্তরিত করে চ্যানেল মাধ্যমে প্রেরণ করবেন, যাতে গোলমাল সর্বনিম্ন হয়। বার্তা প্রাপক বার্তাকে সংকেত মুক্ত করে শিক্ষকের ধারণা স্পষ্ট উপলব্ধি করে।
5. শ্রবণ দর্শন, গ্রহণ ক্ষমতার বিকাশ:
এর দ্বারা শিক্ষার্থীর শ্রবণ, দর্শন, গ্রহণ করার ক্ষমতার বিকাশ ঘটে। কারণ শিক্ষকের বার্তা উপলব্ধি করার জন্য সাধারণত পঞ্চ ইন্দ্রিয় বিশেষ করে দুটি ইন্দ্রিয় দ্বারা সেই বার্তা গ্রহণ ও সংকেত মুক্ত করে। সমগ্র প্রক্রিয়ায় কোথায় কোন ত্রুটি শনাক্ত করা, প্রশ্ন-উত্তর প্রক্রিয়া, সেই অনুযায়ী ফিডব্যাক সরবরাহ করা হয়।
6. দলীয় গতিধর্মিতা:
সকল শিক্ষার্থী নিজের এবং শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করে,ফলে গতিধর্মিতা বৃদ্ধি পায়।
7. ধনাত্মক শিখন সঞ্চালন:
শিক্ষার্থীরা বিষয়বস্তু ও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য ব্যাপারে স্পষ্ট ও সঠিক ধারণা গড়ে তোলে, তারা অন্য প্রাসঙ্গিক বিষয়েও এই জ্ঞান ধনাত্মকভাবে সঞ্চালন করতে শেখে।
৪. ভাষা দক্ষতা বৃদ্ধি করা:
যোগাযোগ প্রক্রিয়ার তাৎপর্য হল ভাষা দক্ষতা বৃদ্ধি করা। যেহেতু শিখন শিক্ষণ যোগাযোগ প্রক্রিয়া মূলত বক্তৃতা বা কথোপকথনের উপর ঘটে থাকে, তাই শিক্ষার্থীরা যথাযথ ভাষা ব্যবহার করতে শেখে।
9. উপযুক্ত প্রতিসংকেত সরবরাহ:
অনেকে মনে করেন উপযুক্ত প্রতিসংকেত সরবরাহ শ্রেণিকক্ষ যোগাযোগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তর। কারণ যেখানে বোঝার ঘাটতি হয়, অসুবিধা জাগে, সেটি জানার জন্য শিক্ষার্থী উদগ্রীহ হয় তখন শিক্ষা প্রক্রিয়া প্রকৃত শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক হয়ে ওঠে। শিক্ষার্থীর অসুবিধাকে প্রাঞ্জল করে দিলে তারা খুব তৃপ্ত হয় ।
10. মানবিক সম্পর্ক:
যোগাযোগ প্রক্রিয়ার তাৎপর্য হল মানবিক সম্পর্ক। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর প্রত্যক্ষ যোগাযোগ, প্রশ্নোত্তর পর্ব অর্থাৎ সরাসরি প্রতিসংকেত সরবরাহ এসব হল ব্যক্তিগত আদানপ্রদান। তাই শিক্ষার্থী শিক্ষকের মধ্যে মানবিক সম্পর্ক সহমর্মি হয়ে ওঠে।
11. বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার:
শ্রেণিকক্ষে OHP, স্লাইড, টেপ রেকর্ডার, বেতার, টিভি ইত্যাদি নয়া প্রযুক্তিরূপে ব্যবহার করা হয়।
12. সময়ের অপচয় হ্রাস:
কার্যকরী সুপরিকল্পিত যোগাযোগ প্রক্রিয়ায় শিক্ষকের সময় একটুও অপচয় হয় না। নির্দিষ্ট সময়ে অনেক বেশি শিক্ষণ হয় ।