StudyMamu

Site is under construction some pages not work properly. Please bear with us.

দূরাগত শিক্ষার বৈশিষ্ট্য

দূরাগত শিক্ষার বৈশিষ্ট্য

Q – দূরাগত শিক্ষার বৈশিষ্ট্য। দূরাগত শিক্ষার বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি। দূরাগত শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ  বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা কর।

1) দূরাগত শিক্ষার প্রবেশের ক্ষেত্রে অনেক নমনীয়তা রয়েছে। এছাড়া এই শিক্ষার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ে কোন বাধ্য বাধোক্তা নেই। শিক্ষার্থী তার সুবিধামতো নিজের সময় মত অধ্যয়ন করতে পারে।

2) দূরাগত শিক্ষার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এটি non-formal বা অপ্রথাগত শিক্ষা। দূরাগত শিক্ষাকে non-formal শিক্ষায়ত বলা যেতে পারে। কারণ এটি প্রথাযুক্ত শিক্ষা নয়, এটি শিক্ষামুক্ত শিখন। মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি নামেও পরিচিত।

3) দূরাগত শিক্ষা পরোক্ষ শিক্ষা এক্ষেত্রে মুখোমুখি শিক্ষার উপর গুরুত্ব নেই। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ থাকে। ডাকযোগের মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগ ঘটে।

4) দূরাগত শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর চাহিদা ও সুবিধার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় অর্থাৎ এটি শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক শিক্ষা। শিক্ষার্থীর চাহিদাকে কেন্দ্র করে এখানে পাঠক্রম করা হয় এবং শিক্ষার্থীরা যাতে আত্মনির্ভরশীল ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়।। শিক্ষার্থীর পঠন পাঠনে কোন সমস্যা দেখা দিলে শিক্ষকের সঙ্গে মিলিত হয়ে তারা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। দূরাগত শিক্ষার দ্বিমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা লক্ষ্য করা যায়।

5) এই শিক্ষা প্রথাগত শিক্ষার তুলনায় অনেক কম খরচে সম্ভব।

6) এই শিক্ষায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের ব্যবহার করা হয়। এই শিক্ষাকে গণশিক্ষা বলা যেতে পারে কারণ এর মাধ্যমে লক্ষ্য লক্ষ্য শিক্ষার্থীরা শিক্ষার সুযোগ পায় এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের ব্যবহার করা হয়। যেমন রেডিও টেলিভিশন পত্র-পত্রিকা,কম্পিউটার,ভিডিও, মাল্টিমিডিয়া,ইত্যাদি-  এই সমস্ত গণমাধ্যম গুলি ব্যবহার করে শিক্ষাকে যতটা সম্ভব সহজ করে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।

7) স্কুল কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় যে কোন স্তরে দূরাগত শিক্ষা দেওয়া যেতে পারে।

8) এই শিক্ষা কম্পিউটারের মাধ্যমে দেওয়া হয় এছাড়া পাশ্চাত্য শ্রেণী এবং মহিলাদের জন্য এই শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার বিভিন্ন দিকে ব্যবস্থা করা হয়।

9) দূরাগত শিক্ষার ক্ষেত্রে ভৌতির কোন নির্দিষ্ট বাধা ধরা নিয়ম নেই। পাঠক্রমের নমনীয়তা রয়েছে সেই কারণে ড্রপ আউট শিক্ষার্থীরা বা চাকরিয়ত ব্যক্তিরা তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়াতে এই দূরাগত শিক্ষা লাভ করে।

10) দূরাগত শিক্ষার বৈশিষ্ট্য হল দূরাগত শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে এই শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর সুশিক্ষা সম্ভব এবং নিজের মানসিক বৌধিক উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব।

11) দূরাগত শিক্ষার মাধ্যমে ডিগ্রী ডিপ্লোমা পাওয়া যেতে পারে। আবার নাও পাওয়া যেতে পারে। আবার দূরাগত শিক্ষা জীবন কেন্দ্রিক শিক্ষা।

12) এখানে শিক্ষক শিক্ষার্থী মাঝে মাঝে মিলিত হয়। যখন তাদের প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বিভিন্ন পরিকল্পনা তৈরি ও পাঠ্য পুস্তক তৈরীর ক্ষেত্রে সাহায্য করে।

13) দূরাগত শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল এখানে শিক্ষার্থীদের প্রবেশের জন্য কোন কঠোর নিয়ম কানুন নেই। যে কোন মানুষ যেকোনো বয়সেই শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।

Share

2 thoughts on “দূরাগত শিক্ষার বৈশিষ্ট্য”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *