ব্যক্তিগত ও দলগত পরামর্শ দানের মধ্যে পার্থক্য।
Q- ব্যক্তিগত ও দলগত পরামর্শ দানের মধ্যে পার্থক্য।
ব্যক্তিগত ও দলগত পরামর্শদানের মধ্যে পার্থক্য দেখাও।
ব্যক্তিগত পরামর্শদান | দলগত পরামর্শদান |
---|---|
1) ব্যক্তিগত পরামর্শ দানের ক্ষেত্রে পরামর্শদাতা ও পরামর্শ গ্রহীতা মুখোমুখি ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকেন। | 1) দলগত পরামর্শের ক্ষেত্রে দলের সদস্যদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বেশি এবং তাদের পারস্পারিক ভাব বিনিময়ই প্রধান। |
2) ব্যক্তিকে এককভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়। | 2) একাধিক ব্যক্তিকে একসঙ্গে পরামর্শ দেওয়া হয়। |
3) সময় ও অর্থের অপচয় তুলনাই বেশি। | 3) সময়ে ও অর্থের সাশ্রয় হয়। |
4) ব্যক্তিগত পরামর্শদান সাধারণভাবে প্রতিকার মূলক। | 4) দলগত পরামর্শদান সাধারণভাবে প্রতিরোধমূলক। |
5) পদ্ধতি হিসেবে প্রত্যক্ষ পরোক্ষ কিংবা ঐচ্ছিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। | 5) নাটক বক্তৃতা কর্ম সম্মেলন, কর্মজীবন সম্পর্কে আলোচনা ইত্যাদি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। |
6) ব্যক্তিগত পরামর্শ দানের সময় পরামর্শদাতা ও গ্রহীতার মধ্যে আস্থা ও ঘনিষ্ঠতার প্রয়োজন হয়। | 6) দলগত পরামর্শ দানের সময় দলগত সংহতি সদস্যদের পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা গ্রহণযোগ্যতা এগুলি সবই গুরুত্বপূর্ণ। |
7) মনস্তাত্ত্বিক পরামর্শদান অভিজ্ঞ ব্যক্তির দ্বারাই বাঞ্ছনীয়। | 7) একজন অভিজ্ঞ শিক্ষকই তা করতে পারেন। |
8) এই প্রকার পরামর্শদানে শিক্ষার্থীর তথ্য সংগ্রহ করার সুবিধা আছে এবং পরামর্শদান অনেক গভীরে যেতে পারে। | 8) দলের প্রতিটি সদস্যের তথ্য সংগ্রহ করার অবকাশ নেই। এখানে পরামর্শদানের গভীরে যাওয়ার সুযোগ নেই। |