পরামর্শদানের পরিধি সম্পর্কে লেখ।
1)পরামর্শদানের পরিধি হলো পরামর্শদাতা পরামর্শ গ্রহীতার জন্য পরিকল্পনা বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন না। পরামর্শদাতা পরামর্শ গ্রহিতাকে তার সমস্যা ও নিজেকে বুঝতে তার সমস্যা অনুযায়ী আত্ম সন্তুষ্টি ও সমাজ বঞ্চিত আচরণ ধারা পরিবর্তন এ সাহায্য করার মধ্যে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখে।
2) পরামর্শদাতা পরামর্শ গ্রহীতার আত্ম উপলব্ধিতে সচেষ্ট হবেন। সাধারণভাবে অধিকাংশ ব্যক্তি নিজের সমস্যা সমাধানে সক্ষম। পরামর্শদাতা সাহায্য ছাড়াই ব্যক্তি আত্ম উপলব্ধি ও নিজেকে পরিচালনা করার ক্ষমতা রাখেন। তবে অনেক সময়ই ব্যক্তির প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে সমস্যার সমাধানে সক্ষম হন না পরামর্শদাতা তখন তথ্য সরবরাহ করে ব্যক্তিকে সমস্যা মুক্ত করতে সাহায্য করেন।
3) পরামর্শ দাতার কাজ হল পরামর্শ গ্রহীতার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এ সচেষ্ট হওয়া তার সক্রিয়তায় পরিবর্তন এ নয়। পরামর্শ দানে ব্যক্তির ভৌতিক দৃষ্টিভঙ্গি অপেক্ষা আবেগমূলক দৃষ্টিভঙ্গি অধিক গুরুত্ব পায়।
4) পরামর্শদাতা ও পরামর্শ গ্রহীতার মধ্যে সম্পর্ক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ উভয়ের মধ্যে সঠিক সম্পর্ক গড়ে উঠলে পরামর্শদানের লক্ষ্য পরামর্শ গ্রহীতা কে তার পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজনে সমর্থক হয়।
5) সব ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে পরামর্শদান প্রয়োজন যেসব সাধারন সমস্যা পরামর্শদানের সম্ভব তার জন্য পরামর্শদানের প্রয়োজন হয় না। সমস্যা গভীর হলে এবং তা যখন নির্দেশনা দ্বারা সমস্যা সমাধানে সম্ভব নয় তখনই অভিজ্ঞ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পরামর্শদাতার সাহায্য গ্রহন করা প্রয়োজন।
উপসংহার
তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রেই বিশেষ করে যেসব সমস্যা সমস্ত ব্যক্তি জীবনে দেখা যায়। সেই সব ক্ষেত্রে বর্তমানে দলগত পরামর্শদান ব্যবহার করা হয়। যেমন বয়ঃসন্ধিক্ষণের সমস্যা এবং তার জন্য করণীয় সমূহ বৃত্তি প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বার্ধক্য জনিত সমস্যা ও তার প্রতিকার মানসিক চাপ দূর করা ইত্যাদ।