StudyMamu

Site is under construction some pages not work properly. Please bear with us.

শিক্ষা মনোবিজ্ঞানের গুরুত্ব বা তাৎপর্য

শিক্ষা মনোবিজ্ঞানের গুরুত্ব আলোচনা করো অথবা, শিক্ষা মনোবিজ্ঞানের তাৎপর্য আলোচনা কর।

শিক্ষা মনোবিজ্ঞানের গুরুত্ব বা তাৎপর্য 

[1]মানবসত্তার প্রকৃতি:

শিক্ষা মনোবিজ্ঞানের গুরুত্ব বা তাৎপর্য হলো মানবসত্তার প্রকৃতি। মনোবিজ্ঞান আচরণের বিজ্ঞান হলেও শিশুর আচরণ নির্ভর করে তার সহজাত ক্ষমতা, প্রবণতা ও সামর্থ্যের ওপর। শিক্ষামনোবিজ্ঞানের কাজ হল শিশু যেসব শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতা, প্রবণতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, সেসবের প্রকৃতি অনুধাবন করা।

[2] ব্যক্তিসত্তার বিকাশ:

শিশুর বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অভিজ্ঞতার পরিবর্তন ঘটে, পরিবেশের রূপান্তর ঘটে। জন্মসূত্রে প্রাপ্ত ক্ষমতা চিরকাল অবিকৃত বা অপরিবর্তিত অবস্থায় থাকে না। শুধু তাই নয়, সেইসব পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন করতে গিয়ে শিশুকে তার আচরণেরও পরিবর্তন করতে হয়। এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়েই তার ব্যক্তিসত্তার বিকাশ ঘটে, চরিত্র গঠিত হয়।

[3] শিখন প্রক্রিয়া:

শিশু কীভাবে শেখে, শিখনের নিয়মাবলি কী, চাহিদার সঙ্গে শিখনের সম্পর্ক কী ইত্যাদি বিষয়ে মনোবিজ্ঞানে যেসব ব্যাপক গবেষণা হয়েছে সেগুলি শিক্ষকের জানা প্রয়োজন। শিক্ষামনোবিজ্ঞান এই সকল তথ্য সরবরাহ করে শিক্ষকের শিক্ষাদানের কাজ সহজ করে তোলে।

[4] শিক্ষা পরিকল্পনা:

শিক্ষা মনোবিজ্ঞানের গুরুত্ব বা তাৎপর্য হলো শিক্ষা পরিকল্পনা। শিক্ষা সঞ্চালন সম্ভব কি না, হলেও কতটুকু করা সম্ভব সে সম্পর্কে মনোবিজ্ঞানে যেসব গবেষণা হয়েছে, সেগুলি জানতে পারলে সার্থকভাবে পাঠক্রমে তৈরি করা যায়। বিদ্যালয়ের শিক্ষা ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে সাহায্য করুক এবং এক পরিস্থিতিতে শিক্ষাগ্রহণ অন্য পরিস্থিতিতে কাজে লাগুক এই উদ্দেশ্য নিয়ে শিক্ষা পরিকল্পনা রচনা করতে হলে শিক্ষামনোবিজ্ঞানের সাহায্যে শিখন সঞ্চালনের শর্ত ও ফলাফল সম্পর্কে অবহিত হতে হবে।

[5] বুদ্ধির পরিমাপ:

শিখনের সঙ্গে বুদ্ধির সম্পর্ক কনিষ্ঠ) কেন-না, শিখনের উৎকর্ষ অনেকখানি সহজাত ক্ষমতা বুদ্ধির ওপর নির্ভর করে থাকে। শিশুকে শিক্ষা দিতে গেলে তাই তার বুদ্ধির পরিচয় নিতে হবে। বুদ্ধি কী, কীভাবে তার বিকাশ ঘটে, কীভাবে তার পরিমাপ করা যায় ইত্যাদি বিষয়গুলি শিক্ষামনোবিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত ।

[6] ক্লান্তির অবসান:

শিক্ষার্থী একসঙ্গে অনেকটা সময় ধরে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে না। শিখনের পথে শিক্ষার্থীর মধ্যে আসে ক্লান্তি ও বিরক্তি। এই ক্লান্তি ও বিরক্তি কেন আসে, কীভাবে তা দূর করা যায়, শিক্ষাগ্রহণের ফাঁকে বিশ্রামের প্রয়োজন কি না ইত্যাদি বিষয় শিক্ষামনোবিজ্ঞানে আলোচনা করা হয়ে থাকে।

[7] পরীক্ষাগ্রহণ ও পরিমাপ:

শিক্ষা মনোবিজ্ঞানের অপর এক গুরুত্ব হলো পরীক্ষাগ্রহণ। শিক্ষাদান করেই শিক্ষকের কাজ শেষ হয় না, প্রদত্ত শিক্ষা শিক্ষার্থী ঠিকমতো গ্রহণ করতে পারল কি না, তা মূল্যায়ন করাও তাঁর কাজ। কিন্তু বর্তমানে প্রচলিত পরীক্ষা ব্যবস্থায় প্রকৃত মূল্যায়ন করা যায় না। শিক্ষার সার্থক মূল্যায়ন করার জন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে নানা অভীক্ষা (Various educational tests) শিক্ষামনোবিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে) শিক্ষামনোবিজ্ঞান আলোচনার মাধ্যমে এইসব অভীক্ষার বিষয়বস্তু ও প্রয়োগকৌশল শিক্ষক জানতে পারবেন।

[8] সুপরিচালনা:

আজকের শিশু আগামী দিনের নাগরিক। ভবিষ্যতে সে যাতে উপযুক্ত জীবিকা গ্রহণ করতে পারে, যথাযথভাবে সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে পারে, তার জন্য তাকে বৃত্তি নির্ধারণে নির্দেশদান প্রয়োজন। এ কাজেও বর্তমানে শিক্ষামনোবিজ্ঞানের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। সুতরাং, শিক্ষকের শিক্ষামনোবিজ্ঞানের জ্ঞান থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন।

1 thought on “শিক্ষা মনোবিজ্ঞানের গুরুত্ব বা তাৎপর্য”

  1. Your contents are really good and written in simple language so it is very easy to understand without any difficulty. Thanks ….. I am class 11 student

    End…Subir Bapari

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top