নির্দেশনার প্রকারভেদ
নির্দেশনার প্রকারভেদ গুলি হল
শিক্ষামূলক নির্দেশনা:
যে নির্দেশনা ব্যক্তিকে তার শিক্ষা জগতের সঙ্গে অভিযোজন এর সাহায্য করে তাকে শিক্ষামূলক নির্দেশনা বলা হয়।
![]() |
নির্দেশনার প্রকারভেদ |
বৃত্তিমূলক নির্দেশনা:
ব্যাপক অর্থে নির্দেশনা ব্যক্তিকে তার বৃত্তি জগতের অভিযোজনের সাহায্য করে তাকে বৃত্তিমূলক নির্দেশনা বলে। বৃত্তি সম্পর্কে যে নির্দেশনা দেখা যায় সেগুলি হল-
- বৃত্তি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ এবং তা শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।
- কোথায় কি ধরনের বৃত্তির সুযোগ সুবিধা আছে।
- কোন বৃত্তিতে কি ধরনের গুণাবলীর প্রয়োজন
- বৃত্তি পছন্দ ও প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজন পাঠক্রম। বৃত্তিতে প্রবেশ এবং বৃত্তিতে উন্নতির জন্য সহযোগিতা।
- শিক্ষার্থীকে তার বৃদ্ধির প্রবণতা আগ্রহ সম্পর্কে সচেতন করা যার সাহায্যে সে নিজের উপযুক্ত বৃত্তি গ্রহণ করতে পারে।
- বৃত্তিকালীন কোন সমস্যা সমাধানে উপায় নির্ধারণে।
- বৃত্তিতে উন্নতি বৃত্তিতে অভিযোজন।
সামাজিক নির্দেশনা:
পারস্পারিক মেলামেশা ও আদান-প্রদান সকলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং সামাজিক পরিবর্তনে অংশগ্রহণ করা অর্থাৎ সামাজিক পরিবেশের সঙ্গে সার্থক অভিযোজনই হলো সামাজিক নির্দেশনা।
নৈতিক নির্দেশনা:
নৈতিক বিকাশ ও সুচরিত্র গঠন করতে এবং নৈতিক অবলম্বন থেকে শিক্ষার্থীর দূরে রাখতে যে নিদর্শনা সাহায্যে নেওয়া হয়। তাকেই নৈতিক নির্দেশনা বলে।
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নির্দেশনা :
সমাজের একটি অন্যতম পরিষেবা মূলক কাজ হল জনগণকে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করা ও তাদের রোগ থেকে তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করা এটি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নির্দেশনা বলা হয়।
ব্যক্তি নির্দেশনা :
যে নির্দেশনা ব্যক্তিকে তার ব্যক্তিগত জীবনে বিশেষ করে প্রাক্ষোভিক সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে তাকে ব্যক্তি নির্দেশনা বলা হয়।
বার্ধক্য নির্দেশনা:
বার্ধক্যে ব্যক্তির দেহ ও মনের প্রাক্ষোভিক ও সামাজি কে আচরণে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে এই পরিবর্তন থেকে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। সেই কারণে যে নির্দেশনা প্রয়োজন তা হলো বার্ধক্য নির্দেশনা।
ব্যক্তিগত নির্দেশনা:
ব্যক্তিকে এককভাবে নির্দেশনা দেওয়াকে ব্যক্তিগত নির্দেশনা বলে।
দলগত নির্দেশনা :
শিক্ষা ও বৃত্তি সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ যেমন সাধারণ আলোচনা ব্যক্তিত্বে নাটক দলগত নাটক।