বসুন্ধরা সম্মেলনে গৃহীত পদক্ষেপ কি কি / 1992 বসুন্ধরা সম্মেলনে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল।
১৯৯২ সালে বসুন্ধরা সম্মেলনে গৃহীত পদক্ষেপ নিম্নে আলোচনা করা হলো –
[1] ১৯৯২ সালে বসুন্ধরা সম্মেলনে গৃহীত পদক্ষেপ এর মতে অন্যতম ছিল দূষণকারী রাষ্ট্রকেই নীতিগতভাবে দূষণের সমস্ত ভার বহন করতে হবে। প্রতিটি রাষ্ট্রকে তার সামর্থ্য অনুসারে পরিবেশ রক্ষার উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
[2] যেসব ক্রিয়াকলাপের পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে তাদের নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়নকে একটি জাতীয় প্রভাবক হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। কোনো প্রাকৃতিক বা রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপের দ্বারা কোনো রাষ্ট্রের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলি যদি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে রাষ্ট্রকে আগে থেকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে যা বসুন্ধরা সম্মেলনে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল।
[3] রাষ্ট্রকে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের আভাস পাওয়া মাত্রই আশেপাশের রাষ্ট্রগুলিকে এ বিষয়ে সতর্ক করতে হবে, যাতে তারা ওই দুর্যোগের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। যে কোনো পরিস্থিতিতে পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদের রক্ষা আবশ্যক।
[4] মহিলারা পরিবেশ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। তাই সুস্থায়ী উন্নয়নের জন্য মহিলাদের পর্ণ অংশগ্রহণ অত্যন্ত প্রয়োজন।
[5] রাষ্ট্রকে পরিবেশ সংক্রান্ত সমস্যাগুলি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে হবে। রাষ্ট্র এবং তার অধিবাসীদের পারস্পরিক বিশ্বাস ও সহযোগিতার সাহায্যে সুস্থায়ী উন্নয়নের উদ্দেশ্যে অংশগ্রহণ করতে হবে।
[6] রাষ্ট্রকে পরিবেশ সংক্রান্ত সমস্যাগুলি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে হবে।
[7] বিশ্বের তরুণ নাগরিকদের সুস্থায়ী উন্নয়ন বিষয়ে উৎসাহী করতে হবে যাতে তারা তাদের সৃষ্টিশীলতা, আদর্শ ও সাহস দিয়ে আরও সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে।
[8] যুদ্ধের মনোভাব সুস্থায়ী উন্নয়নের পরিপন্থী। যুদ্ধ অপরিহার্য হলে যুদ্ধকালীন অবস্থায় পরিবেশের সুরক্ষা সংক্রান্ত নিয়মকানুনগুলি সমস্ত দেশগুলিকে মেনে চলতে হবে। শান্তি, উন্নয়ন ও পরিবেশগত সুরক্ষা পরস্পর নির্ভরশীল ও অবিভেদ্য বিষয়।