বিশ্বায়ন কাকে বলে / বিশ্বায়ন বলতে কী বোঝায় ।
Q – বিশ্বায়ন কাকে বলে / বিশ্বায়নের সংজ্ঞা দাও / বিশ্বায়ন বলতে কী বোঝায় / বিশ্বায়ন কি।
বিশ্বায়ন কাকে বলে কথাটি এত বিভিন্ন অর্থে এবং এত বিভিন্ন প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হচ্ছে যে বিশ্বায়নের সংজ্ঞা সর্বজনগ্রাহ্য তৈরী করা যথেষ্ট কঠিন হয়ে পড়েছে।মানুষের জন্ম সমগ্র বিশ্বে তাদের ছড়িয়ে পড়া মানবজাতির প্রতিটি আবিষ্কার, চিন্তাভাবনা, কাজকর্ম, সংস্কৃতি, জীবনচর্যা এবং এগুলির পারস্পরিক আদানপ্রদান মানব সভ্যতার জন্মলগ্ন থেকেই – উপরোক্ত প্রক্রিয়ার সূচনা হয়েছিল। মানুষ দ্বারা সৃষ্ট যে কোন এই সৃষ্টিকে সমগ্র মানবসমাজের উত্তরাধিকার হিসাবে ভাবা এবং সমগ্র মানবজাতির মধ্যে তা ভাগ করে নেওয়াকে ব্যপক অর্থে বিশ্বায়ন বলা হয়। এই বিশ্বায়নের ইতিহাস ও মানুষের সত্যিকার ইতিহাস অধ্যাপক অমিয় বাগচির মতে সমার্থক। তবে অধুনা বিশ্বায়ন অভিধাটিকে অন্য অর্থেই ব্যবহার করা হচ্ছে।
বিশ্বায়নের আধুনিক অর্থটি অনেক বেশী সীমিত ও সমালোচনামূলক। অমিয় বাগচি লিখেছেন যে বিশ্বায়নের প্রক্রিয়াটিকে সীমিত করে তাকে একটি ধনিক নিয়ন্ত্রিত খালে পর্যবসিত করে সাধারণ মানুষকে বঞ্চনার চেষ্টা গত ৩০ বছর ধরে প্রবলভাবে করা হচ্ছে তাঁর মতে এটি হল বিকৃত বিশ্বায়ন। বস্তুতপক্ষে আধুনিককালের সবচেয়ে চর্চিত বিতর্কের নামটাই হল বিশ্বায়ন। বিশ্বায়ন কোন আকস্মিক ঘটনা নয়, আদিকাল থেকেই পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক বা পর্যটনগত যোগাযোগ চলে আসছে।
আগে পৃথিবীর অধিকাংশ আদানপ্রদান ছিল প্রাচ্যমুখী, বর্তমানে অধিকাংশই পাশ্চাত্যমুখী কেননা এই যুগের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রন করছে পশ্চিমী পুঁজিবাদ। কম্যুনিস্ট মেনিফেস্টোতে মার্কস ও এঙ্গেলস এই আদান প্রদানের পূর্বাভাস দিয়ে বলেছিলেন যে ‘The need of constantly expanding market for its products chases the bourgeoisie over the entire surface of the globe it must nestle everywhere. The bourgeoisie has, through its exploitation of the world market, given a cosmopolitan character to production and consumption in every country.’ এই cosmopolitan ব্যাপারটাই আজ বিশ্বায়ন নামক সদ্য চালু এক শব্দে পরিণত হয়েছে।
বিশ্বায়ন কাকে বলে pdf >>