নবাব সরফরাজ খান।
সুজাউদ্দিনের পর তাঁর পুত্র সরফরাজ খাঁ ১৭৩৯-৪০ মাত্র দুই বছরের জন্য বাংলার মসনদে বসেছিলেন, তাঁরই প্রিয় কর্মচারী ও মন্ত্রনাদাতা মীর্জা মহম্মদ ১৭৪০ খ্রিস্টাব্দে গিরিয়ার যুদ্ধে সরফরাজকে পরাজিত ও নিহত করে বাংলার মসনদ দখল করেন।
সরফরাজ মীর্জা মহম্মদকে ১৭২৮ খ্রিস্টাব্দে বিহারের নায়েব নাজিম পদে বসিয়ে তাঁকে আলিবর্দী খাঁ উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। আলিবর্দীর এই ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়ায় তদানিন্তন বাংলার ধনী বণিক জগৎ শেঠ, বাংলার কিছু জমিদার এবং বেশ কিছু উচ্চপদস্থ রাজকর্মচারীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল অর্থাৎ তাদের ষড়যন্ত্রেই এই পালাবদল ঘটেছিল।
ফিলিপ ক্যাপ্তিন্স দেখিয়েছেন যে ১৭৩০ এর দশক থেকেই বাংলার প্রভাবশীল শক্তির উপস্থিতিতে সহযোগিতায় নবাবী শাসন অনেক বেশী স্বনির্ভর ও সাম্রাজ্যিক শাসনের নিয়ন্ত্রনমুক্ত। (the government of Bengal began to look more like government by cooperation of the dominant forces in Bengal, rather than the imposition of the rule from outside)
তবে ঐতিহাসিক শেখর বন্দোপাধ্যায় এর মতে বাংলার রাজনৈতিক চৌহদ্দিতে ব্যাঙ্কার, ব্যবসায়ী এবং জমিদার শ্রেণীর প্রভাব বৃদ্ধি অন্যদিকে নাজিমের ক্ষমতাকে সঙ্কুচিতও করেছিল এরূপ সহযোগী শক্তির সাহায্য নিয়েই আলিবর্দী বাংলার মসনদ থেকে সরফরাজকে উৎখাত করেছিলেন।