পাগলপন্থী কাদের বলা হয় ।
ময়মনসিংহ জেলার শেরপুর এর মুসলিমদের মধ্যে পাগলপন্থী নামক এক সম্প্রদায় ছিল। সুসঙ্গ পরগনার অন্তর্গত লেটিয়াকান্দা গ্রামবাসী টিপু পাগল এই মতের প্রবর্তন করেন। টিপু প্রথমে সামান্য কৃষক ছিলেন। সময়ে সে কেবল ধর্মপ্রচারক নয় , বহু সংখ্যক অনুচর প্রাপ্ত হয়ে একজন ঘোরতর সমাজ বিপ্লাবক হয়ে ওঠে। তাদের ধর্মের অন্যতম মূল সূত্র এই সকল মানুষই ঈশ্বর সৃষ্ট কেউ কারোর অধীনে নয় সুতরাং কেউ উচ্চ কেউ নীচ এরূপ প্রভেদ করা অসঙ্গত।
1231 সালে তন্মতালম্বী এ পরগনাস্থ অনেক প্রজা দলবদ্ধ ও বিদ্রোহী হয়ে জমিদার প্রভৃতিকে খাজনা দেওয়া বন্ধ করে। পরিশেষে সরকারের সুশাসনে নিরস্ত হন। পাগল গুরুরা অন্যান্য মুসলমানদের ন্যায় শ্মশ্রুধারন , কুক্কুটাদি ,জন্তু পালন করতেন না । লোকে এদেরকে অতি মানসিক ক্ষমতা বিশ্বাস করে অনেক প্রকার মানসিক করে থাকে। এই নিমি ও সর্বদা তাদের বাসভবনে অনেক লোকের সমাগম হয়। টিপু পাগলকে পূর্ব বাংলার এক প্রকার লুইব্লেঙ্গ বললে হয়।