আলাউদ্দিন হোসেন শাহ ইতিহাসে বিখ্যাত কেন
ঐতিহাসিক হাবিবুল্লাহআলাউদ্দিন হোসেন শাহ কে আকবরের সঙ্গে তুলনা করে তাকে মধ্যযুগের বাংলার আকবর আখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু হোসেন শাহ আকবরের মত ভাগ্যবান ছিল না প্রথমত তার আবুল ফজলের মত বন্ধু ও জীবনী কার ছিল না এবং দ্বিতীয়ত তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে আকবরের মত সাম্রাজ্য শৈন ও রাজকোষ পাননি।হোসেন শাহ দীর্ঘ তার সঙ্গে অরাজকতা বন্ধ করেন। 12000 লুন্ঠনকারি সৈন্যদের প্রাণদণ্ড দান রাজপ্রসাদের গুপ্ত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তাদের বরখাস্ত এবং অপশাসন থেকে মুক্তি দান।
বাংলায় শুধু তিনি শান্তি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেন নি বাংলার সীমানা ও সম্প্রসারিত হয়েছিল। রাজত্বের প্রথম বর্ষ থেকেই হোসেন শাহ নিজেকে কামরূপ কামতা যাজন রাজনগর ওড়িশা বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করে এই রাজ্যগুলি জয়ের জন্য উদ্যোগী হন। হোসেন শাহের মুদ্রা শিলালিপি রিয়াজ-উস-সালাতীন এবং ত্রিপুরা রাজমালা সাক্ষ্য আহোম পুঁথি পত্র কিছু ঐতিহাসিক জিরা এর এশিয়া প্রভৃতি উপাদানের জানা যায় যে পশ্চিমে ঘর ঘোড়া ও স্থল পর্যন্ত পূর্বে চট্টগ্রামের ওপর হোসেন শাহী বংশের প্রভৃতি স্থাপিত হয়েছিল এবং উত্তরে কামরূপ রাজ্যভুক্ত ও ব্রহ্মপুত্রের উত্তরাঞ্চলে পরাজয় সত্বেও প্রাধান্য বিস্তার ঘটে ছিল।
ছোট সোনা মসজিদ এর একটি লেখাতে হোসেন শাহ নিজেকে ইসলাম ও মুসলমানদের রক্ষক বলে ঘোষণা করেছেন। প্রকৃতপক্ষে সুন্নি মুসলমানদের আনুগত্য লাগছিল এই আচরণের মূল উদ্দেশ্য। শাসন ব্যবস্থাকে নিরপেক্ষ রাখার জন্য তুর্কি আফগানদের সঙ্গে সঙ্গে উচ্চবর্ণের হিন্দু ব্রাহ্মণ কায়স্থ এমনকি নিম্নবর্গের মানুষ কেউ শাসন কাঠামো অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।
বাংলার ইতিহাসে হোসেন শাহী আমল উদার মানবিক পরমত সহিষ্ণু রাজনৈতিক জন্য স্মরণীয় হয়ে আছে। স্বধর্মে উকিল হোসেনসহ তার বংশধররা বাংলার হিন্দু মুসলমানের জাতীয় রাষ্ট্র গঠনের পথে এগিয়ে এসেছিলেন।হাবিবুল্লাহ এর মধ্যেই উত্তর ভারতের অসহিষ্ণু মুসলমান শাসকদের মত এরা অনুদান ও পরধর্ম ছিলেন না। চৈতন্যদেবের 575 স্বরূপ ও সনাতন হোসেন শাহের মন্ত্রী ও সচিব এবং ধর্মীয় সহনশীলতা প্রেক্ষাপটেই যবন হরিদাসের বৈষ্ণব ধর্ম গ্রহণ সম্ভব হয়েছিল।
হোসেন শাহী আমলে সামরিক শক্তির ক্ষমতা বৃদ্ধি ঘটেছিল। এ যুগে বঙ্গদেশের শক্তিশালী নৌবাহিনী সীমানা রক্ষা করত। প্রতিপক্ষকে শক্তিশালী করার জন্য প্রচুর গ্যাস দের নিযুক্ত করতেও কুন্ঠিত হননি।