শিক্ষাশ্রয়ী সমাজবিদ্যা কাকে বলে। শিক্ষাশ্রয়ী সমাজবিদ্যা বলতে কী বোঝ
শিক্ষাশ্রয়ী সমাজবিদ্যা বলতে বোঝায় বিজ্ঞান, যা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক গোষ্ঠী এবং সামাজিক পদ্ধতিসমূহকে বর্ণনা করে এবং ব্যাখ্যা করে অর্থাৎ সামাজিক সম্পর্কগুলো যার মধ্যে বিদ্যমান এবং যার মধ্য দিয়ে ব্যক্তি লাভবান হয় এবং তার অভিজ্ঞতাকে সংগঠিত করে।
মরিস জিনসবার্গ (Moris Ginsberg)-এর মতে সমাজবিদ্যা (sociology) হল সেই তত্ত্ব যেখানে মানুষের পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া (Interaction), অবস্থান, ফলাফল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। তাই এই সমাজবিদ্যা আত্মবিশ্লেষণ, আত্মমূল্যায়ন, অভিযোজন প্রভৃতি বিকাশে সহায়তা করে।
গিডেন্স (Giddens)-এর মতে, যে তত্ত্বে সামাজিক জীবনধারার পর্যালোচনা করা হয় এবং সমাজের বাসিন্দা হিসেবে সমাজের মানুষের আচরণবিধি তুলে ধরা হয়, তা হল সমাজবিদ্যা।
ব্রাউন (Brown)-এর মতে ব্যক্তি ও সমাজের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক যে বিজ্ঞানে আলোচিত হয়, তা হল শিক্ষাশ্রয়ী সমাজবিদ্যা, যা কেবল সমাজের অন্তর্গত বিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়, বরং সমাজে যে সমস্ত সংস্থা আছে যেমন পরিবার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, গোষ্ঠী বা সম্প্রদায় প্রভৃতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ডডসন (Dodson) -এর মতে শিক্ষাশ্রয়ী সমাজবিদ্যা হল সমগ্র সংস্কৃতিমূলক পরিবেশের প্রভাব মাঝে অনুরাগ, যাতে এবং যার মাধ্যমে অভিজ্ঞতাগুলো অর্জন করা এবং সংগঠিত করা যায় শিক্ষাশ্রয়ী সমাজবিদ্যা অনুসন্ধানে বিশেষ করে আগ্রহী হয়, ব্যক্তিত্ব বিকাশের অধিকতর ভালো ফল প্রাপ্তির জন্য পরিচালনা করে ।
টালেসরা (Talesra) -এর মতে শিক্ষার অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে শিক্ষাশ্রয়ী সমাজবিদ্যাকে সমাজবিজ্ঞানের
বৈজ্ঞানিক প্রবণতা বা প্রভাব, পদ্ধতি এবং নিয়মাবলির ক্ষেত্র হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে। এরূপ অনুসন্ধানের বা চর্চার বিষয় দ্বারা সামাজিক বিধিগুলো, শিক্ষা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পাওয়া যেতে পারে এবং সেগুলো এরূপভাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে যাতে আমাদের শিক্ষাশ্রয়ী নীতি বা প্রথার উন্নতি ঘটে।