দূরাগত শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
ভূমিকা
বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থায় দূরাগত শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা খুবই বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই সে ক্ষেত্রে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্থান গ্রহণ করার সুযোগ হচ্ছে না। সেই কারণে দূরাগত শিক্ষার গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের দেশের শিক্ষা চিত্র বিশ্লেষণ করলে যে বিষয়গুলি স্পষ্ট হয়ে ওঠে সেগুলি হল শিক্ষাকে সকলের কাছে নিয়ে যাওয়া শিক্ষার গুনগত মানের উন্নতি বর্তমান সমাজে প্রেক্ষিতে শিক্ষার অগ্রসর এই উদ্দেশ্যে গ্রহণের লক্ষ্যে দূরাগত শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অথবা গুরুত্ব সম্পর্কে নিম্ন আলোচনা করা হলো –
(১)জাতীয় সম্পদের উন্নয়ন:
দূরাগত শিক্ষা জাতীয় সম্পদ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
(২) শিক্ষার্থীর বিকাশ:
দূরাগত শিক্ষা ব্যবস্থা বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে কাটানো শিক্ষার্থীদের লেখার বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে।
(৩) সবার জন্য সুযোগ:
যেকোনো বয়সে দূরাগত শিক্ষা গ্রহণ সম্ভব হওয়া যে কোন মানুষের শিক্ষার্থীরা এই শিক্ষার অংশ নিতে পারে।
(৪) ব্যক্তিগত স্বাচ্ছন্দ:
দূরাগত শিক্ষায় ব্যক্তিগত স্বচ্ছন্দ থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগ্রহ চাহিদার বিকাশ ঘটে।
(৫) আত্মনির্ভরতা লাভ:
দূরাগত শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী শিখন এর ক্ষেত্রে আত্মনির্ভাতা লাভ করে
(৬) সকলের জন্য উন্মক্ত:
দুরাগত শিক্ষায় আসন সংখ্যা নির্দিষ্ট না থাকায় সমাজের সমস্ত শিক্ষার্থী শিক্ষায় সুযোগ পায়।
(৭) স্বল্প ব্যয় সাধ্য:
দূরাগত শিক্ষার ক্ষেত্রে স্বল্প ব্যয় হওয়ার কারণে আর্থিক অভাবের দরুন শিক্ষা ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত কম হয়।
(৮) ব্যক্তিগত শিখন:
দূরাগত শিক্ষায় ব্যক্তিগতভাবে শিখন সম্ভাব হয়।
(৯) শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক শিক্ষা:
দূরাগত শিক্ষায় শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক হওয়ার ফলে শিক্ষার্থীরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে।
(১০) জীবিকা কেন্দ্রিক শিক্ষা:
বৃত্তিমূলক শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়ার ফলে দূরাগত শিক্ষা জীবিকা কেন্দ্রিক শিক্ষা হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মূল্যায়ন:
উপরিউক্ত আলোচনা পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্তে আসা যায় যে, দূরাগত শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা বা গুরুত্ব বর্তমান সমাজে অনস্বীকার্য।