দূরাগত শিক্ষা কাকে বলে। দূরাগত শিক্ষা কী
Q- দূরাগত শিক্ষা কী। দূরাগত শিক্ষা কাকে বলে। দূরাগত শিক্ষা বলতে কী বোঝ।
যে শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থী যে কোন সময় যে কোন বয়সে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না গিয়ে শিক্ষকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছাড়াই ডাক যোগ বা অন্য কোন গণমাধ্যমের সহায়তাই শিক্ষালাভ করে তাকে দূরাগত শিক্ষা বলে।
বিভিন্ন শিক্ষাবিদগণ বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দূরাগত শিক্ষার সংজ্ঞা দিয়েছেন। দূরাগত শিক্ষা সম্পর্কে শিক্ষাবিদগণ বলেছেন সকল স্তরে নানা প্রকৃতির কঠরপাঠনের ক্ষেত্রে ধারাবাহিক এবং তাৎক্ষণিক শিক্ষকের দ্বারা শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানে ব্যবস্থা থাকে না। কিন্তু যাতে বিশ্বাস প্রশিক্ষণের কেন্দ্র থেকে পরিকল্পনা নির্দেশনা এবং প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ থাকে তাকে দূরাগত শিক্ষা বলে।
দূরাগত শিক্ষা হলো সেই ধরনের শিক্ষা যাতে শিক্ষকরা নিজস্ব নমনীয়তা সুযোগ পায়। যাতে তারা নিজ ইচ্ছা অনুযায়ী যার নিজ সময় অনুযায়ী গঠন-পাঠন করে নিজেদের শিক্ষিত করে তুলতে পারে।
প্রথা বহির্ভূত শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে যেটি সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হল দূরাগত শিক্ষা। যারা পথের অভাবে বা নির্দিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর অভাবে বা নিজের সময়ের অভাবে নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা গ্রহণে সুযোগ পায় না তখন এই শিক্ষা তাদের কাছে পৌঁছে যায়। এই শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের চাহিদা পূরণ করতে পারে। এই কারণেই দূরাগত শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতে সংবিধান রচনার পথ থেকে শিক্ষা কে সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে তা দূরাগত শিক্ষার বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে এখানে শিক্ষার্থীরা তাদের চাহিদা, ক্ষমতা প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী স্বাধীনভাবে বিশেষ প্রশিক্ষণের সুযোগ পায়। দূরে বসে তাদের সুবিধামতো জায়গায় বসে পড়াশোনা করতে পারে। দূরাগত শিক্ষা ব্যবস্থা দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে –
- corresponding Education
- Distence Education.