StudyMamu

Site is under construction some pages not work properly. Please bear with us.

পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে খ্রিস্টান মিশনারিদের ভূমিকা

পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে খ্রিস্টান মিশনারিদের ভূমিকা।

Q- পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে খ্রিস্টান মিশনারীদের অবদান । পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে খ্রিস্টান মিশনারিদের ভূমিকা।

পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে খ্রিস্টান মিশনারিদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল এগুলির

[1] ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা:

খ্রিস্টান মিশনারীদের যৌথ নেতৃত্বে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তার ও ভারতে প্রথম ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। ফলে অক্ষরে ছাপা পুস্তক মানুষকে আরও উৎসাহী করে তোলে এবং ফলে সাধারণ মানুষদের মধ্যে আত্মপ্রকাশের সুযোগ বৃদ্ধি পায়।

[2] ধর্মীয় চেতনার উন্মেষ:

মিশনারীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে খ্রিস্টধর্মের পাঠ অন্তর্ভুক্ত করে জনমানসে ধর্মীয় চেতনার উন্মেষ ঘটিয়েছিলেন। আমাদের বিভিন্ন শিক্ষা কমিশনের প্রতিবেদনের এরই প্রতিফলন দেখা যায়।

[3] সমতার নীতি-প্রবর্তন:

মিশনারীদের সমতার নীতি প্রবর্তনের ফলে অগণিত। অবহেলিত, লাঞ্চিত, বিত্তহীন শিক্ষার্থীরা সমাজের বুকে যথাস্থান পেয়েছিল।

[4] পৃথক বিদ্যালয় স্থাপন:

সমাজের নারীদের প্রতিষ্ঠিত করতে মিশনারীরাই প্রথম পৃথক বিদ্যালয় স্থাপনে উদ্যোগী হন। ফলে মিশনারীদের সদর্থক প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ নারীদের শিক্ষাগত বিকাশ ঘটেছে বলা যেতে পারে।

[5] শিক্ষার গুনগত মান বৃদ্ধি:

পূর্বে, ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থায় ক্লাস, পিরিয়ড প্রভৃতির যথাযথ বিন্যাস ছিল না। মিশনারীদের অবদানে ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থার সাংগঠনিক রূপটি স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়। এর ফলশ্রুতিতে শিক্ষার গুনগত মান বৃদ্ধি পায়।

[6] মাতৃভাষায় শিক্ষাদান:

ভারতীয় ভাষায় শিক্ষাদানের প্রচলন প্রথম খ্রিস্টান মিশনারি ঘটিয়েছিলেন। তাই মাতৃভাষায় বা আঞ্চলিক ভাষায় শিক্ষাদানের পেছনে রয়েছে খ্রিস্টান মিশনারীদের অবদান।

Share

1 thought on “পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে খ্রিস্টান মিশনারিদের ভূমিকা”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *