অপ্রত্যক্ষ পরামর্শদানের সুবিধা ও অসুবিধা।
![]() |
অপ্রত্যক্ষ পরামর্শদান |
অপ্রত্যক্ষ পরামর্শদানের সুবিধা
Rogens এর প্রবর্তিত অপ্রত্যক্ষ পরামর্শদানের বিশেষ কয়েকটি সুবিধা আছে সেগুলি হল –
- পরামর্শদাতা ব্যক্তিগত বিকাশে পুণ্য সহায়তা দেওয়া সম্ভব হয়। এই পরামর্শ দান প্রক্রিয়া ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের পরিবর্তনের উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
- এই পরামর্শদান প্রক্রিয়া কেন্দ্রবিন্দু হল পরামর্শগ্রহীতা পরামর্শদাতা নয়, ফলে পরামর্শ গ্রহীতা নিজের কাজ নিজ উদ্যোগে করতে এবং সমস্যা সমাধানে সক্ষম হয়।
- এই পরামর্শদানে ব্যক্তির অনুভূতিমূলক দিকের ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়।
- কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা করার দরকার হয় না, ফলে পরামর্শদাতা পদ্ধতিটি সহজ ও জটিলতা মুক্ত থাকে।
- এরফলে মানসিক প্রতিবন্ধতা দূর করা হয়ে থাকে। এতে পরামর্শদাতা তার নিজের মনের অবচেতনে লুকিয়ে থাকা অনুভূতিটিকে প্রকাশ করতে সক্ষম হয়।
- এই পরামর্শদানে পরামর্শগ্রহীতার পরামর্শদানের বিভিন্ন কৌশল চেয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গির উপর বেশি জোর দেওয়া হয়।
অপ্রত্যক্ষ পরামর্শদানের এই সব সুবিধা বা ধনাত্মক দিক থাকলেও এর অনেক অসুবিধা বা ত্রুটি আছে সেগুলি হল –
অপ্রত্যক্ষ পরামর্শদানের অসুবিধা
- এটি অত্যন্ত ধীর ও সময় সাপেক্ষ পদ্ধতি। এখানে কাউন্সিলার ও কাউন্সেলিকে অনেকটা সময় একান্ত কাটাতে হয়। স্কুলে বা কলেজে অনেক ছাত্র-ছাত্রীর ভিড়ে এই ধরনের কাউন্সেলিং করা সম্ভব হয় না।
- এই প্রক্রিয়ায় পরামর্শ গ্রহীতা কে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহে ব্যাপারটিকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হয়।
- অনেক সময় অল্প বয়সী ছেলে মেয়েরা নিজেদের মনের কথা ঠিক ভাবে অনুভব করতে পারে না, বা বলতে পারেনা বলে কাউন্সিলিং ভুল পথে পরিচালিত হবার আশঙ্কা থেকে যায়।
- এই পরামর্শ দানের জন্য যথেষ্ট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও অভিজ্ঞ ব্যক্তির প্রয়োজন হয়। বাস্তবে এই ধরনের বিশেষজ্ঞ সংখ্যা খুবই কম।
- যারা নিজেদের সমস্যা নিজেরা সমাধান করতে পারে না, বা সমস্যার দায়িত্ব বহন করতে পারে না তাদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি মোটেই কার্যকরী নয়।
- অপ্রত্যক্ষ পরামর্শদান প্রক্রিয়ায় ব্যক্তির আচরণে অনুভূতিমূলক নির্ধারকের ওপর বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে এবং মানব আচরণের বৈদিক এবং জ্ঞানমূলক দিকগুলির উপেক্ষা করা হয়েছে।