যোগাযোগের কৌশলগুলি কী কী ?
যোগাযোগের কৌশল
যোগাযোগ প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন উপায়ে সম্পাদিত হয়। সাধারণত যোগাযোগ নিম্নরূপ হতে পারে।
(১) বিধিবদ্ধ যোগাযোগ :
এটিকে নিয়মমাফিক যোগাযোগ বলে এবং এটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে হয়ে থাকে। শ্রেণীকক্ষে যোগাযোগ এই জাতীয়। এক্ষেত্রে সংযোগটি উপর থেকে নীচের দিকে চলে। কোন কোন ক্ষেত্রে অবশ্য এই সংযোগ নীচ থেকে উপর দিকেও স্থাপিত হতে পারে।
(২) অবিধিবদ্ধ যোগাযোগ :
এটি নিয়মবহির্ভূত যোগাযোগ। কোন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীদের মধ্যে যখন সুযোগ সুবিধামত কোন তথ্য বা সংবাদ পরিবেশন করা হয় এবং তাদের মতামত গ্রহণ করা হয় তখন যোগাযোগের কোন সুনির্দিষ্ট নীতি মেনে চলা হয় না ৷ তবে এই জাতীয় যোগাযোগে অনেক সময় কোন মিথ্যা কথা, মিথ্যা ধারণা বা গুজবের সৃষ্টি হয়ে থাকে।
(৩) মৌখিক যোগাযোগ :
যখন কোন তথ্য বা সংবাদ মৌখিক বা অলিখিতভাবে উপস্থাপন করা হয় তখন তাকে মৌখিক যোগাযোগ বলে। টেলিফোনে কথাবার্তা বলা এর সবচেয়ে ভাল উদাহরণ।
(৪) লিখিত যোগাযোগ :
যখন কোন তথ্য বা সংবাদ লিখিতভাবে প্রাপকের নিকট উপস্থাপন করা হয় তখন তাকে লিখিত যোগাযোগ বলে। চিঠিপত্র, প্রচার পুস্তিকা, পোস্টার, টেলিগ্রাম, ফ্যাক্স ইত্যাদি এই জাতীয় যোগাযোগের উদাহরণ।
(৫) উর্ধ্বমুখী যোগাযোগ :
যখন যোগাযোগ নিম্নতর কর্মীদের থেকে ঊর্ধ্বতর কর্মীদের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয় তখন তাকে ঊর্ধ্বমুখী যোগাযোগ বলে। সাধারণত কোন অফিসের কর্মচারীরা তাদের অভাব-অভিযোগ, মতামত বা সুপারিশ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট এই পদ্ধতিতে উপস্থাপিত করেন। এই জাতীয় যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি।
(৬) নিম্নমুখী যোগাযোগ:
যখন ঊর্ধ্বতন স্তর থেকে নিম্নতন স্তরে কোন তথ্য বা সংবাদ প্রেরণ করা হয়, তখন তাকে নিম্নমুখী যোগাযোগ বলে। এটি হল যোগাযোগের একটি অতি পরিচিত ও সাধারণ প্রক্রিয়া।
(৭) আনুভূমিক যোগাযোগ :
যখন ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সমস্থানীয় ব্যক্তিদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করা হয় তখন তাকে আনুভূমিক যোগাযোগ বলে। বিভিন্ন কল-কারখানার ম্যানেজার, বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষিকা প্রভৃতির মধ্যে এই নিয়মে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়।