ইউরোপে মধ্যযুগীয় ইতিহাস রচনার প্রেক্ষাপট আলোচনা করো ।
ভূমিকা :
ইউরোপে মধ্যযুগীয় ইতিহাস রচনার প্রেক্ষাপট ছিল , যেমন – ইতিহাস চর্চায় খ্রিস্টধর্মের প্রভাব,পোপ গ্রেগরি অফ ট্যুরস্,ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁস,দ্বাদশ শতকের নবজাগরণ,মধ্যযুগে ব্রিটেনে ইতিহাসচর্চা ইত্যাদি।
(ক) ইতিহাস চর্চায় খ্রিস্টধর্মের প্রভাব
রোম অধিকৃত প্যালেস্তাইনে (Roman occupied Palestine) খ্রিস্টধর্মের আবির্ভাব, রোম সাম্রাজ্যে তার প্রসার এবং প্রচার, খ্রিস্টধর্মীদের ওপর পৌত্তলিক রোমান সম্রাটদের নিপীড়ন এবং সম্রাট কনস্টানটাইনের (Constantine) রাজত্বকালে খ্রিস্টধর্মের স্বীকৃতি পাশ্চাত্য ইতিহাস বীক্ষণের ক্ষেত্রে একটি জলবিভাজিকা। খ্রিস্টধর্মের পারলৌকিক ও দৈবীয় (Divine) দৃষ্টিভঙ্গির প্রভাবে একদা গ্রিস ও রোমের প্রাচীন ধর্মনিরপেক্ষ ইতিহাসচর্চা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মানবকেন্দ্রিক ইতিহাস ভাবনার কার্যত তিরোধান ঘটে। তার জায়গায় দৈবিক এবং অদৃষ্টবানী ইতিহাস রচনা প্রাধান্য পায়।
খ্রিস্টান ঐতিহাসিকদের মধ্যে ইউসেরিয়াস অফ সিজারিয়া (Eusebius of Caesaria), সেন্ট অগাস্টিন অফ হিপো রিজিয়াস (St. Augustine of Hippo Regius) এবং পল ওরোসিয়াস (Paul Orossias) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
খ্রিস্টীয় মতাদর্শ অনুযায়ী ইতিহাস রচনার পথিকৃৎ হলেন ইউসেবিয়াস (260-340 খ্রিস্টাব্দ)। তিনি আজীবন প্যালেস্তাইনে বসবাস করেন এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করেন। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ক্রোনোগ্রাফিয়া (Chronographia), একলেসিয়াস্টিকাল হিস্ট্রি (Ecclesiastical History), লাইভস অব দ্য মারটার্স অব জেরুসালেম (Lives of the Martyrs of Jerusalem) এবং লাইফ অব কনস্টানটাইন (Life of Constantine)। তিনি ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ঐতিহাসিক সময়বিধির (Chronology) মধ্যে সাযুজ্য আনেন এবং খ্রিস্টীয় সময়বিধির সঙ্গে তার যুক্তিসংগত যোগ স্থাপন করেন।
ইহুদিগণের ওল্ড টেস্টামেন্ট (Old Testament) ছিল তার রচনার ভিত্তি এবং বইগুলি বাইবেলে বর্ণিত সৃষ্টির (Creation) সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। ইউসেবিয়াসের মতানুসারে সমস্ত ঘটনাই ঈশ্বর দ্বারা পূর্ব নির্ধারিত এবং যিশুখ্রিস্টের আগমনের শুভবার্তার সূচক।
সেন্ট অগাস্টিন (354-430 খ্রি.) আজীবন খ্রিস্টধর্মের যৌক্তিকতা এবং সার্থকতা নিয়ে চর্চা করেন। তার উল্লেখযোগ্য রচনা হল কনফেশন্স (Confessions) এবং বাইশ খণ্ডে রচিত দ্য সিভিটটি দেই (De Civitat Dei, City of God)। কনফেশন্স তার আত্মচরিত যেখানে খ্রিস্টধর্মের প্রতি তাঁর আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভালবাসা জ্ঞাপন করেছেন।
অগাস্টিনের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ সিটি অফ গড (City of God) 410 খ্রিস্টাব্দ নাগাদ গথদের (Goth) দ্বারা রোম নগরী আক্রমণ এবং তার ধ্বংসসাধনের প্রাক্কালে রচিত হয়। সিটি অফ গড় অগাস্টিনের অনবদ্য সৃষ্টি এবং মধ্যকালীন ইউরোপের ইতিহাসচর্চার প্রধান ভিত্তি। এই গ্রন্থে অগাস্টিন দুই বিপরীতধর্মী অবস্থানের উল্লেখ করেছেন। একদিকে ঈশ্বর নির্মিত শাশ্বত এবং চিরন্তন নগরী যা মানুষকে সুখ, সমৃদ্ধি এবং শান্তি প্রদান করে যার দ্বারা সে জ্ঞানের উচ্চ মার্গ স্পর্শ করতে সক্ষম হয় এবং উৎকর্ষ অর্জন করে। সিটি অফ গড হল। এই শাশ্বত নগরী।
অন্যদিকে শয়তান (Satan) সৃষ্ট পার্থিব নগরী (Civitat Terrena) যা পাশবিক শক্তি দ্বারা নির্মিত এবং ঈশ্বর প্রদত্ত নিয়মাবলির অন্যথা করে এবং সেই কারণবশত দ্রুত ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। গথ বর্বরদের দ্বারা রোমের ধ্বংসসাধনের প্রধান কারণ মূলত এটি। এই গ্রন্থ রচনার মাধ্যমে অগাস্টিন ঈশ্বরকে মনুষ্য ভাগ্যের এবং বোদ্ধার (Intellect) সর্বময় কর্তা হিসেবে তুলে ধরেন। পলওরোসিয়াস (খ্রিস্টাব্দ 380-420) সেন্ট অগাস্টিনের শিষ্য ছিলেন। তাঁর রচিত সেভেন বুকস অব হিস্ট্রি আগেস্ট পেগানিজম (Seven Books of History Against Paganism) ঈশ্বর দ্বারা মানুষের নিয়তিকে নিয়ন্ত্রণের কথা বলে। উপরোক্ত আলোচিত তিন লেখকের চিন্তাভাবনা সর্বাত্মকভাবে ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে প্রোথিত হয় এবং পাশ্চাত্য ইতিহাস বীক্ষণের প্রক্রিয়াকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।
(খ) পোপ গ্রেগরি অফ ট্যুরস্ (Pope Gregory of Tours )
476 খ্রিস্টাব্দে পশ্চিম রোমান সাম্রাজ্যের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটে এবং ইউরোপে মধ্যযুগের সূচনা হয়। পশ্চিমাঞ্চলে রোমান সাম্রাজ্যের অবলুপ্তির ফলে প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সুস্থিতি বিনষ্ট হয় এবং নাগরিক জীবন (Civic Life) বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সেচ ব্যবস্থা পরিত্যক্ত হয় এবং পানীয় জল সরবরাহ ব্যাহত হয়। রোম নগরীতে মহামারী দেখা দেয়। এ ছাড়া ক্রমান্বয়ে বর্বর আক্রমণ নাগরিকদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার বোধ তৈরি করে।
রাষ্ট্র ব্যবস্থা যখন বিপর্যস্ত এবং সামাজিক বিশৃঙ্খলা সর্বত্র কায়েম হয়, সেই অবস্থায় একমাত্র রোমান ক্যাথলিক গির্জা’ শান্তি, শৃঙ্খলা এবং স্থায়িত্বের মার্গ দর্শকের ভূমিকা পালন করে। চার্চের ধর্মযাজক এবং প্রধান পরিচালক বিশপ (Bishop ) তাঁর নিজস্ব এলাকায় সর্বময় কর্তা হয়ে ওঠেন। তিনি একযোগে আধ্যাত্মিক এবং প্রশাসনিক ভূমিকা পালন করেন। পরবর্তী পর্যায়ে পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং জার্মান উপজাতীয় গোষ্ঠীর শাসকদের সামরিক ছত্রছায়ায় রোমান ক্যাথলিক গির্জার প্রাধান্য উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায় এবং গির্জার বিশপ খ্রিস্টধর্মীদের ধর্মগুরু অর্থাৎ পোপ’ (Pope) হয়ে ওঠেন।
গ্রেগরি আনুমানিক CE 540-এ রোমের এক প্রাচীন অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রেগরি প্রশাসনিক ব্যবস্থায় নিম্নস্তরে কর্মরত হন এবং অচিরেই তাঁর মেধা ও দক্ষতার দরুন রোমের প্রিফেক্ট (Prefect) পদে উন্নীত হন।
পোপ গ্রেগরির জীবদ্দশায় বর্বর লম্বাতগণ (Lombards) ইতালিতে অনুপ্রবেশ করে এবং CE 573 নাগাদ রোম আক্রমণ করে। লম্বার্ড আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে গ্রেগরি নবাগত ফ্যাঙ্ক (Frank) উপজাতি গোষ্ঠীর সাহায্য প্রার্থনা করেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ফ্র্যাঙ্কগণ খ্রিস্টধর্মের রক্ষাকারী হিসেবে বিবেচিত হন। গ্রেগরি ফ্র্যাঙ্ক রাজবংশের ইতিহাস দশ খণ্ডে রচনা করেন। এই গ্রন্থের নাম হিস্টোরিয়া ফ্রাঙ্কোরাম (Historia Francorum) I
(গ) ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁস (Carolingian Renaissance )
ইউরোপে মধ্যযুগীয় ইতিহাস রচনার অন্যতম প্রেক্ষাপট ছিল ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁস । সম্রাট শার্লাম্যানের (Charlemagne, CE 800-814) নেতৃত্বে ক্ষুদ্র ফ্র্যাঙ্ক রাজ্য একটি বৃহৎ সাম্রাজ্যে পরিণত হয়। তিনি শুধুমাত্র একজন বিজেতা ছিলেন না, বরং শিক্ষা ও সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পশ্চিম ইউরোপের সর্বত্র সুখ্যাতি লাভ করেন। শার্লাম্যানের তত্ত্বাবধানে তাঁর রাজসভাকে কেন্দ্র করে ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত পণ্ডিত ও বিদগ্ধ জনদের নিয়ে একটি প্রাসাদ বিদ্যালয় ( Palace School) তৈরি হয়। তাঁর ঘনিষ্ঠ বিদ্বজ্জনদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন আলকুইন (Alcuin), পিটার (Peter), পল (Paul), থিওডউল্ফ (Theodulf), এঞ্জিলবার্ট (Angilbert) এবং আইনহার্ড (Einhard)। এই প্যালেস স্কুলের কার্যকলাপকে কেন্দ্র করে যে নবজাগরণ ঘটে, তাকে ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁস বলা হয়ে থাকে। ইতিহাসচর্চা ছিল এই নবজাগরণের অন্যতম অঙ্গ।
শার্লাম্যানের সচিব এবং প্রখ্যাত ঐতিহাসিক আইনহার্ড ক্যারোলিভিটা (Carolivita) নামে সম্রাটের জীবনী রচনা করেন। রোমান ঐতিহাসিকদের অনুকরণে রচিত এই জীবনী খুব শীঘ্রই জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
লম্বার্ডি থেকে আগত যাজক পল (Paul the Deacon ) CE 774তে লম্বার্ড জাতির ইতিহাস (History of the Lombards) রচনা করেন। এই গ্রন্থে তিনি লম্বার্ড জাতির উৎসস্থল দক্ষিণ স্ক্যানডিনেভিয়া অঞ্চলকে চিহ্নিত করেন। লম্বার্ডদের দ্বারা উত্তর ইতালি বিজয় এবং তৎসহ সেই অঞ্চলের ভূমি ব্যবস্থার বিবরণ এই গ্রন্থের প্রধান বিষয়। ঐতিহাসিক নিউহার্ড (Nithard) ‘ফোর বুকস অফ হিস্ট্রি’ (Four Books of History) রচনা করেন। তাঁর পিতা এঞ্জিলবার্ট (Angilbert) ছিলেন শার্লাম্যানের মন্ত্রী পরিষদের সদস্য এবং সুপণ্ডিত। স্পেন থেকে আগত ভিসিগথ পণ্ডিত ঘিওডউল্ফ (Theodulf) লাতিন বাইবেল অর্থাৎ ভালগেট (Vulgate)-কে পরিশুদ্ধ ও উন্নীত করেন।
(ঘ) দ্বাদশ শতকের নবজাগরণ (Twelfth Century Renaissance)
ইউরোপে মধ্যযুগীয় ইতিহাস রচনার আরেক প্রেক্ষাপট ছিল দ্বাদশ শতকের নবজাগরণ। দ্বাদশ শতকের ইউরোপীয় নবজাগরণ নবম শতকের ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁস এবং ষোড়শ শতকের ইতালীয় রেনেসাঁসের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করে। এই সময় ইউরোপের দূর বাণিজ্য (Long Distance Trade) পুনরুজ্জীবিত হওয়ার ফলে নগরায়ণ ঘটে এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্র প্রসারিত হয়। এই সময় রোমান আইনের অধ্যয়ন, গথিক শিল্পের (Gothic Art) প্রসার এবং আঞ্চলিক ভাষা ও সাহিত্যের বাহুল্য লক্ষ করা যায়।
দ্বাদশ শতকে ইউরোপের বহু স্থানে বিশ্ববিদ্যালয় নির্মিত হয় এবং জ্ঞানচর্চার বিভিন্ন ক্ষেত্রগুলি উন্মোচিত হয়। এই শতকে পাশ্চাত্য ইতিহাসবীক্ষণ চরম উৎকর্ষ লাভ করে। এই সময় পিটার আবেলার্ড (Peter Abelard), আলবার্টাস ম্যাগনাস ( Albertus Magnus), সিগার্ট (Sigibert),অটো অফ ফিসিং (Otto of Freising), সেন্ট টমাস আকুইনাস (St. Thomas Aquinas ) উইলিয়াম অফ টায়ার (William of Tyre) প্রমুখ চিন্তাবিদ ও পণ্ডিতগণের আবির্ভাব ঘটে। পিটার আবেলার্ড (CE 1079 1142 ) ছিলেন একাধারে দার্শনিক, যাজক এবং প্রখর যুক্তিবাদী। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা হল “থিওলোজিয়া স্কলারিয়াম’ (Theologia Scholarium)।
আলবার্টাস ম্যাগনাস (CE 1200 1280) ছিলেন বহুমুখী প্রতিভাধর । তাঁর জ্ঞানের বিশাল পরিধির জন্য তিনি ডক্টরস ইউনিভার্সালিস (Doctors Universalis) উপাধি লাভ করেন। ‘ডি ৰোনো‘ (De Bono), ‘সুপার এথিকা’ (Super Ethica), ‘ট্র্যাকটেটাস’ (Tracktatus) ইত্যাদি তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা। ঐতিহাসিক উইলিয়াম অফ টায়ার (CE 1130 1184) তেইশ খণ্ডে ‘জেরুসালেমের ইতিহাস’ (History of Jerusalem) রচনা করেন।
অটো অফ ফিসিং ছিলেন সম্রাট ফ্রেডরিখ বারবারোসার মাতুল এবং মিউনিখ শহরের নিকটস্থ ফ্রিসিং-এর ধর্মযাজক। তাঁর প্রধান দুটি রচনা হল ‘টু-সিটিস’ (Two Cities) এবং হিস্ট্রি অব এম্পেরার ফ্রেডরিখ ফার্স্ট (History of Emperor Frederick I)।
(ঙ) মধ্যযুগে ব্রিটেনে ইতিহাসচর্চা
মধ্যযুগে ব্রিটেনে ইতিহাসচর্চার দুই প্রধান অঙ্গ হল অ্যানাল (Anal) এবং ক্রনিকেল (Chronicle)। অ্যানাল বলতে বোঝায় বার্ষিক ঘটনাবলির (Annual Events) পুঞ্জিভূত তথ্য এবং ক্রনিকেলের অর্থ হল গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলীর ক্রমান্বয়ে বিশদ বিবরণ।
ইংল্যান্ড থেকে আগত খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকগণ ইউরোপে এই দুটি আঙ্গিক নিয়ে যান এবং পরবর্তীকালে সম্রাট শার্লাম্যানের পৃষ্ঠপোষকতায় এর ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য রচনা হল ‘দ্য আনালস অফ ইংলিশ হিস্ট্রি’ (The Annals of English History) এবং “অ্যাংলো-স্যাক্সন ক্রনিকেল’ (Anglo-Saxon Chronicle)। এ ছাড়া আয়ারল্যান্ডের মঠগুলি তাদের নিজস্ব কৌশলে বিভিন্ন নথি সংরক্ষণ করে এবং ঘটনাবলির পঞ্জিকরণ করে। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে বিউল্ফ (Beowulf) মহাকাব্য প্রাক্-লাতিন (Pre-Latin) প্রাচীন রুনিক (Runic) ভাষায় লিখিত হয় যা ওয়েসেক্স (Wessex) অঞ্চলে প্রচলিত ছিল।
ইংরেজ ঐতিহাসিকদের মধ্যে স্বনামধন্য বিড (The Venerable Bede, CE 673 735) রোমান, গথিক এবং জার্মান উপাদান সংগ্রহ করে অষ্টম শতকে ‘এক্লেসিয়াস্টিকাল হিস্ট্রি অফ দ্য ইংলিশ নেশন’ (Ecclesiastical History of the English Nation) রচনা করেন।