StudyMamu

Site is under construction some pages not work properly. Please bear with us.

অন্ধকার রাতবিরেতে – সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ

 অন্ধকার রাতবিরেতে

সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ 

– গল্প

কেকরাডিহি যেতে হলে ভামপুর জংশনে নেমে অন্য ট্রেনে চাপতে হবে। কিন্তু ভামপুর পৌঁছোতেই রাত এগারোটা বেজে গেল। ট্রেন ঘণ্টা ছয়েক লেট। খোঁজ নিয়ে জানলুম, কেকরাডিহি প্যাসেঞ্জার রাত ন-টায় ছেড়ে গেছে। পরের ট্রেন সেই ভোর সাড়ে পাঁচটার আগে নয়। কনকনে ঠান্ডার রাত। এরই মধ্যে জংশন স্টেশন একেবারে ঝিম মেরে গেছে। তা ছাড়া, তেমন কিছু বড়ো জংশনও নয়। লোকজনের ভিড় এমনিতে কম। চায়ের দোকানি ঘুম ঘুম গলায়

পরামর্শ দিল, “পাঁচ লম্বর পেলাটফরমে কেকরাডিহির টেরেন রেডি আছে। চোলিয়ে যান। আরামসে শুত করুন।’ 

শুনে তো লাফিয়ে উঠলুম আনন্দে। ওভারব্রিজ হয়ে পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছে দেখি সত্যি তাই। ইঞ্জিনবিহীন একটা ট্রেন কালো হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। প্ল্যাটফর্মে জনমানুষটি নেই। মাথার ওপর ছাউনি বলতেও কিছু নেই। একফালি চাঁদ নজরে পড়ল, শীতে তার চেহারাও খুব করুণ।

কিন্তু যে কামরার দরজা খুলতে যাই, সেটাই ভেতর থেকে আটকানো। জানালাগুলোও বন্ধ। বুঝলুম ভেতরে বুদ্ধিমান লোকগুলো নাক ডাকিয়ে ঘুমোচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রচুর লোক জমে উঠেছে। দরজা খুলে তা বরবাদ করার ইচ্ছে নেই কারুর। অবশ্য চোর-ডাকাতের ভয়ও একটা কারণ হতে পারে। দরজা টানাটানি করে কোথাও কোনো সাড়া পেলুম না। হন্যে হয়ে শেষদিকটায় গিয়ে শেষ চেষ্টা করলুম। তখন আমি মরিয়া হয়ে

উঠেছি। চ্যাঁচামেচি করে বললুম, ‘দরজায় বোমা মেরে উড়িয়ে দেব বলে দিচ্ছি।

আমার কাছে বোমা আছে কিন্তু।’

এই শাসানিতেই যেন কাজ হল। একটা জানলা একটু খুলে গেল। তারপর

ভারী গলায় কে বলল, ‘কী আছে বললেন?’ কথাটা চেপে গিয়ে বললুম, ‘আহা, দরজাটা খুলুন না। ঠান্ডায় জমে গেলুম যে।

ভেতরের লোকটি বলল, ‘বোমা না কী বলছিলেন যেন??

‘আরে না, না।’ হাসবার চেষ্টা করে বললুম, ‘ওটা কথার কথা! দয়া করে

দরজাটা খুলে দিন।’

মাথা খারাপ মশাই? বোমাওয়ালা লোককে ঢুকিয়ে শেষে বিপদে পড়ি আর কি!

বোমা মারতে হয়, অন্য কামরায় গিয়ে মারুন। আমি ঝামেলা ভালোবাসি না।

লোকটা জানলার পাল্লা নামিয়ে দিল দমাস শব্দে। অদ্ভুত লোক তো! রাগে দুঃখে অস্থির হয়ে কী করব ভাবছি, সেই সময় গুনগুন করে গান গাইতে গাইতে একটা লোককে এগিয়ে আসতে দেখলুম। এই প্রচণ্ড ঠান্ডায় গুনগুনিয়ে গান গেয়ে। কেউ আমারই মতো এক বগি থেকে আরেক বগি পর্যন্ত মেরে বেড়াচ্ছেন বুঝি। মিটমিটে আলোয় লোকটির চেহারা নজরে এল। ঢ্যাঙা, হনুমান টুপিপরা লোক। গায়ে আস্ত কম্বল জড়ানো। লম্বা বিরাট একটা নাক ঠেলে বেরিয়েছে মুখ থেকে। থমকে দাঁড়িয়ে গেল আমাকে দেখে। তারপর খিখি করে হাসল। ‘ঢোকার ছিদ্র পেলেন না বুঝি? মশাই, এ লাইনের ব্যাপারই এরকম। সেজন্য সুচ হয়ে ঢুকতে হয়। তারপর দরকার হলে ফাল হয়ে বেরোন না কেন?’

কথার মানে কিছু বুঝলুম না। পাগল-টাগল নয়তো? আমাকে চুপ করে থাকতে দেখে সে বলল, ‘আপনি দেখছি একেবারে কচি খোকা! বুঝলেন না কথাটা?’

ঠান্ডার রাত। জনহীন প্ল্যাটফর্মে পাগলকে ঘাটানো উচিত হবে না। বললুম, ‘বুঝলুম বই কী!’ 

‘কচু বুঝেছেন! এই দেখুন, সুচ হয়ে কেমন করে ঢুকতে হয়।’ বলে লোকটার সামনেকার একটা জানলা খামচে ধরে এক হ্যাঁচকা টানে ওপরে ওঠাল।

তারপর আমাকে হকচকিয়ে দিল বলা যায়। জানলায় গরাদ আছে। অথচ কী করে সে তার অতবড়ো শরীরটা নিয়ে ভেতরে গলিয়ে গেল কে জানে! ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলুম।

কিন্তু তারপরেই ভেতরে গণ্ডগোল বেধে গেছে। আগের লোকটা চেঁচিয়ে উঠেছে খ্যানখেনে গলায়, ‘এ কী মশাই! এ কী করছেন? একী! একী! আরে….’ এবং কামরার দরজা প্রচণ্ড শব্দে খুলে গেল। সম্ভবত আগের লোকটাই বোঁচকাবুঁচকি বিছানাপত্র নিয়ে একলাফে নীচে এসে পড়ল। তারপর দুদ্দাড় শব্দ করে ওভারব্রিজের সিঁড়ির দিকে দৌড়োল।

দেখলুম, একটা বালিশ ছিটকে পড়েছে প্ল্যাটফর্মে। কিন্তু আর ফিরেও তাকাল না এদিকে। এবার সুচ-হওয়া লোকটিকে দেখতে পেলুম দরজায়। খিক খিক করে হেসে বলল, “বেজায় ভয় পেয়ে গেছে। যাক গে, ভালোই হল। আসুন, আসুন। এক্ষুনি আবার কেউ এসে হাজির হবে। আর শুনুন, ওই বালিশটা কুড়িয়ে নিয়ে আসুন। আরামে শুতে পারবেন।’

বালিশটা কুড়িয়ে নিলুম। ঠিকই বলেছে। বালিশটা শোওয়ার পক্ষে আরামদায়কই হবে। এর মালিক যে আর এদিকে এ রাতে পা বাড়াবে না, সেটা বোঝাই যায়। ব্যাপারটা যাই হোক, ভারি হাস্যকর তো বটেই।

কামরার ভেতরটা ঘুরঘুটে অন্ধকার। লোকটা দরজা বন্ধ করে ভেতর থেকে ছিটকিনি নামিয়ে আটকে দিল। দেশলাই জ্বেলে একটা খালি বার্থে বসে পড়লুম। লম্বানেকো লোকটা বসল পাশের বার্থে। তারপর আগের মতো খিক খিক করে হেসে বলল, ‘খুব জব্দ হয়েছে। একা পুরো একটা কামরা দখল করে বসেছিল ব্যাটাচ্ছেলে!’

আমিও একচোট হেসে বললুম, ‘ডাকাত ভেবেই পালিয়েছে, বুঝলেন।” ‘উঁহু ডাকাত ভাবেনি। অন্য কিছু ভেবে থাকবে।’

‘কিন্তু আপনি গরাদের ফাঁক দিয়ে ঢুকলেন কী করে বলুন তো?? “কিচ্ছু কঠিন নয়। সে আপনিও পারেন। তবে তার আগে আপনাকে একটু কষ্ট করতে হবে।

আগ্রহ দেখিয়ে বললুম, “কী কষ্ট?’

লোকটা অন্ধকারে অদ্ভুত শব্দে হাই তুলে বলল, ‘যাকগে ওসব কথা। বললেও কি আপনি সে কষ্ট করবেন??

“কেন করব না? অমন সরু ফাঁক গলিয়ে ঘরে ঢোকাটা যে ম্যাজিক মশাই। আমার ধারণা, আপনি একজন ম্যাজিশিয়ান।”

“তা বলতে পারেন। তবে আমার এখন ঘুম পাচ্ছে।’

অন্ধকারে নড়াচড়ার শব্দ হল। বুঝলুম ম্যাজিশিয়ান লোকটা শুয়ে পড়ল। বালিশটা পেয়ে আমার ভালোই হয়েছে। আমিও শুয়ে পড়লুম। কিন্তু অন্ধকারটা অসহ্য লাগছিল। দম আটকে যাবার দাখিল। তা ছাড়া, বন্ধ জায়গায় শোবারও অভ্যাস নেই। তাই একটু পরে উঠে পড়লুম। মাথার কাছের জানলাটা যেই ওঠাতে গেছি, লোকটা হাঁ হাঁ করে উঠল। ‘করেন কী, করেন কী। সুচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেরোনোর মতো লোকের অভাব নেই বুঝতে পারছেন না? অসুবিধেটা কীসের??

‘দেখুন, বদ্ধ ঘরে আমার দম আটকে যায়। বরং একটু ফাঁক করে…? কথা কেড়ে লোকটা খাপ্পা মেজাজে বলল, ‘ধ্যাত মশাই। বললুম না? আবার কে এসে ঢুকবে, তখন আমারই ঝামেলা হবে। আপনার আর কী! বন্ধ করুন বলছি।’

অগত্যা ফের শুয়ে পড়লুম। কিন্তু ঘুমের দফারফা হয়ে গেছে। বদ্ধ ঘরের অন্ধকারে অস্বস্তি, তার ওপর প্রচণ্ড হিমকাঠ পিঠের তলায়। সঙ্গে গরম চাদরও নেই। প্যান্ট-কোট হিমে বরফ হয়ে গেছে। পাশের লোকটার গায়ে কম্বল। তাই আরামে ঘুমোচ্ছে। নাকও ডাকছে!

কতক্ষণ পরে চুপিচুপি উঠে বসলুম। হাত বাড়িয়ে মাথার কাছের জানলার পাল্লাটা প্রায় নিঃশব্দে ঠেলে ইঞ্চি-দুই ফাঁক করে রাখলুম। তারপর শুয়ে পড়লুম ফের। এবার বদ্ধ ঘরের সেই অস্বস্তিটা কেটে গেল।

হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছিলুম কখন। হঠাৎ কী একটা দুদ্দাড় শব্দে উঠে বসলুম দুড়মুড় করে। কামরা আগের মতো ঘুরঘুটে অন্ধকার। জানলার সেই ফাঁকটা আর নেই। কিন্তু ভেতরে কোথায় একটা ধস্তাধস্তি বেধেছে যেন। ‘কে, কে বলে চেঁচিয়ে উঠে দেশলাই হাতড়াতে থাকলুম। খুঁজে পাওয়া গেল না। ওদিকের দরজাটা দমাস করে খুলে গেল। বাইরে পায়ের শব্দ শুনতে পেলুম। কে যেন দৌড়ে পালিয়ে গেল। তারপর দরজা বন্ধ করে দিয়ে আমার পাশের বার্থে কেউ এসে বসল। বললুম, ‘কী ব্যাপার বলুন তো??

কিচ্ছু না। আপনি শুয়ে পড়ুন। কেকরাডিহি লাইনে এমন হয়েই থাকে। কণ্ঠস্বর শুনে একটু চমকে উঠলুম। পাশের বার্থের লোকটার গলার স্বর ছিল একটু খ্যানখেনে। এটা কেমন গুরুগম্ভীর যেন। দেশলাইটা খুঁজে পাওয়া গেল এতক্ষণে। সিগারেট ধরানোর ছলে কাঠি জ্বেলে সেই মিটমিটে আলোয় যাকে দেখলুম, সে অন্য লোক। তবে তার গায়ের কম্বলটা আগের লোকেরই মনে হচ্ছে। এ লোকটার নাক বেজায় চ্যাপটা। তা ছাড়া, মুখে একরাশ গোঁফ-দাড়ি। মাথার টুপিটাও অন্যরকম। গম্ভীর স্বরে বলল, ‘কী দেখছেন?’

অবাক হয়ে বললুম, ‘আগের ভদ্রলোক কোথায় গেলেন বলুন তো?? “কেন? আমাকে কি সঙ্গী হিসেবে পছন্দ হচ্ছে না?’

“না না—মানে, বলছিলুম কী, আপনিও কি জানলার ফাঁক গলিয়ে

ঢুকেছেন??

ঠিক তাই। বুঝলেন না? যা ঠান্ডা পড়েছে।’

‘তা পড়েছে। কিন্তু আপনিও দেখছি একজন ম্যাজিশিয়ান।

‘তা বলতেও পারেন।’ ‘আগের ভদ্রলোক কোথায় গেলেন?’

হ্যা হ্যা করে হেসে নতুন সঙ্গী বলল, ‘বেজায় ভয় পেয়ে পালিয়েছে। ব্যাটাচ্ছেলে কাতুকুতুতে ওস্তাদ। কিন্তু আমি কী করি জানেন তো? কামড়ে দিই। আপনি?’

“আমি? আমি কিছুই পারি না।’ বলে পা ছড়িয়ে শুয়ে পড়লুম। সিগারেটের আগুনে ঘড়ির কাঁটা দেখে নিলুম। দুটো পাঁচ। আর ঘণ্টা তিনেক এসব উপদ্রব সহ্য করে কাটাতে পারলে আর চিন্তা নেই। ঘুম আর এসে কাজ নেই।

পাশের নতুন সঙ্গীর কিন্তু নড়াচড়ার শব্দ নেই। শুয়ে পড়লে টের পেতুম। তাই একটু অস্বস্তি হচ্ছিল। ওই যে বলল কামড়ে দেওয়ার স্বভাব আছে। হঠাৎ ঝাঁপিয়ে পড়ে কামড়ে দেবে না তো? ভাব করার জন্যে বললুম, ‘কী? শুতে ইচ্ছে করছে না??

প্রকাণ্ড হাই তোলার শব্দ করে বলল, ‘নাঃ। আপনি ঘুমোন।’ ‘ঘুম আসছে কই? বদ্ধ ঘরে আমার দম আটকে যায়। সম্ভবত, জানলা খুললে আপনারও আপত্তি হবে। কাজেই….

‘না, না। আপত্তির কারণটা বুঝলেন না? আবার কেউ ঢুকে গণ্ডগোল

বাধাবে যে।’

‘আগের ভদ্রলোক বলছিলেন, জানলার গরাদ গলিয়ে ঢোকা শিখতে হলে নাকি একটু কষ্ট করতে হবে। কিন্তু কষ্টটা কী, সেটা চেপে গেলেন। আপনি বলতে পারেন ব্যাপারটা কী?’

“খুব পারি। তবে আপনি ভয় পাবেন যে!?

‘মোটেও না। দেখুন না, আমি কি ভয় পেয়েছি?”

হ্যা হ্যা করে হাসল সে। যাক ওসব কথা। আপনার সিগারেট খাওয়া দেখে লোভ হচ্ছে। একটা সিগারেট দিন, টানি।” সিগারেট দিয়ে দেশলাই কাঠি জ্বেলে ধরিয়ে দিতে গিয়ে আবার চমকে

উঠলুম। আরে, এ তো সেই গোঁফ-দাড়িওলা লোকটা নয়। কুমড়োর মতো মুখ,

চকচকে টাক–এ আবার কখন এল?

কিন্তু তক্ষুনি গণ্ডগোল বেধে গেল। পাশ থেকে কে চ্যাঁচামেচি করে বলল, ‘এই মশাই। আমার সিগারেট আপনি টানছেন যে। জিজ্ঞেস করুন তো ওঁকে, কে সিগারেট চাইল।’

ফস করে আবার কাঠি জ্বাললুম দেখি, গোঁফ-দাড়িওয়ালা লোকটি কুমড়োমুখো লোকটির পাশে বসে আছে। তার মুখে-চোখে রাগ ঠিকরে বেরোচ্ছে। ঘাবড়ে গিয়ে বললুম, ‘কী মুশকিল। আপনি আবার কীভাবে ঢুকলেন?’

নতুন লোকটি অদ্ভুত হেসে বলল, ‘আমি আগে থেকেই ছিলুম। অনেকক্ষণ থেকে সিগারেটের গন্ধ পাচ্ছিলুম। সাহস করে আসতে পারছিলুম না। এ ভদ্রলোকের যে কামড়ে দেওয়া অভ্যেস।’

গোঁফ-দাড়ি হেঁড়ে গলায় বলল, ‘এবার যদি কামড়ে দিই।’ “সিগারেটের ছ্যাঁকা দেব। আসুন না কামড়াতে।’

বিবাদ মিটিয়ে দিতে বললুম, ‘আহা, ঠান্ডার রাতে কামড়াকামড়ি ভালো কাজ

নয়। নিন, আপনিও একটা সিগারেট নিন। আমি আবার পা ছড়িয়ে শুয়ে পড়লুম। চোখ দুটো পাশের বার্থের দিকে। দুটো সিগারেট জ্বলজ্বল করে জ্বলছে অন্ধকারে। এবার কেন কে জানে, ঘুমে চোখের

পাতা জড়িয়ে যাচ্ছিল। তারপর কখন সত্যি ঘুমিয়ে পড়েছি।

হইহট্টগোলে সেই ঘুম যখন ভাঙল, তখন দেখি কামরা জুড়ে একদঙ্গল লোক। বোঁচকাবুঁচকিও কম নেই। এখন আলো জ্বলছে। জানলাগুলো হাট করে খোলা। এই রে! সর্বনাশ হয়েছে তাহলে। গরাদ গলিয়েই পিলপিল করে এরা বুঝি ঢুকে পড়েছে। ধুড়মুড় করে উঠে বসলুম। অমনি খালি জায়গা পেয়ে একদল লোক হইহই করে এসে বসে পড়ল। দু-জনকে সিগারেট দিয়ে সামলেছি, এতজনকে কীভাবে সামলাব ভেবে খুব ভয় পেয়ে গেলুম।

কিন্তু তারপর চোখ গেল দরজার দিকে। দরজা খোলা। অতএব এরা তারা নয়। তাদের তন্নতন্ন করে খুঁজে পেলুম না। তারা কোথায় গেল, গোঁফ-দাড়ি এবং কুমড়ো—অর্থাৎ সেই অন্ধকারের ম্যাজিশিয়ানরা?

আমার মাথার তলা থেকে বালিশটা উধাও। যাক গে, একটা অভিজ্ঞতা হল তাহলে। টিকিটের ঘণ্টা দিচ্ছিল। পাঁচটা বাজে।

Share

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *